আজকের অগ্রবাণী ডেস্ক: | ৩০ মে ২০১৭ | ৯:৩০ পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’; দুর্যোগ মোকাবেলায় ইতোমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি রাখাসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছে সরকার।
আবহাওয়াবিদ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মীরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রকৃতি ও এর বিপদ সম্পর্কে যথাযথ ধারণা রাখার পাশাপাশি ঝড় আঘাত আনার সময়ের করণীয় সম্পর্কে উপকূলের বাসিন্দাদের সতর্ক করা হতে পারে ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
ঘূর্ণিঝড়ে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে জনসচেনতা তৈরির পাশাপাশি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা, আবহাওয়ার সতর্ক বার্তা প্রচার, নিচু এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে আনা, স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গড়ে তোলা এবং উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গোলাম মোস্তফা সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোরা যেহেতু সকালের দিকে উপকূল অতিক্রম করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, সেহেতু উপকূলীয় জেলাগুলোর নিচু এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সন্ধ্যার মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রকৃতি
ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রকে ‘চোখ’ বলে। আবহাওয়া সবচেয়ে বেশি দুর্যোগপূর্ণ থাকে ওই ‘চোখ’ এর চারদিকের এলাকায়। ওই এলাকাকে বলে ‘চক্ষুপ্রাচীর’।
যে মেঘবলয় কুণ্ডলী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের দিকে ধাবিত হয় তাকে কুণ্ডলীগত বৃষ্টিবলয় বলা হয়। এগুলো ঘূর্ণিঝড়ের সামনে ডান-চতুর্থাংশে অতি ভারি বৃষ্টিপাত ও প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া এবং এমনকি কি টর্নেডোও সৃষ্টি করে থাকে।
ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের যেখানে কম মেঘ থাকে, সেখানে অনেক সময় ১০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত ঝড়ের ‘চোখ’ দেখা যায়। এ ‘চোখ’ অতিক্রমকালে সাময়িকভাবে অতি হালকা বৃষ্টিপাত ও সামান্য বাতাসসহ আবহাওয়া শান্ত থাকার সম্ভাবনা থাকে।
নিয়ন্ত্রণ কক্ষ
সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় উপকূলীয় ১৯ জেলায় মেডিকেল টিম গঠন এবং বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে উদ্ধার কার্যক্রমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে।
প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা রাখা হয়েছে। যে কোনো তথ্যের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ৯৫৪০৪৫৪, ৯৫৪৫১১৫, ৯৫৪৯১১৬ ও ০১৭১৫১৮০১৯২ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।