
লিয়াকত হোসেন লিংকন | মঙ্গলবার, ০২ জুন ২০২০ | প্রিন্ট
আজ ২ জুন ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ার প্রাণ পুরুষ, শিক্ষানুরাগী, শিক্ষা বঞ্চিত জনপদের আলোকবর্তিকা ও ফরিদপুরের গান্ধী বলে খ্যাত মহাত্মা চন্দ্রনাথ বসুর ৪১ মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ১৯৭৯ সালের ২ রা জুন ৮৬ বছর বয়সে কলকাতা পরলোগমন করেন।
এ উপলক্ষে চন্দ্রনাথের প্রতিষ্ঠিত বৃহত্তম ফরিদপুরের মধ্যে দ্বিতীয় রামদিয়া সরকারী এসকে কলেজে নেই কোন কর্মসূচী।
মহাত্মা স্বর্গীয় চন্দ্রনাথ বসু ১৮৯৩ সালের ডিসেম্বর মাসে কাশিয়ানী উপজেলার নিভৃত পল্লি রামদিয়া গ্রামে এক মধ্যবিত্ত সম্ভ্রান্ত কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম কৈলাস চন্দ্র বসু এবং মাতার নাম সৌদামিনী দেবী।
স্কুলে পড়ার সুযোগ না পেলেও তিনি প্রকৃতির পাঠশালায় পাঠগ্রহন করেছিলেন। যিনি মানুষের কল্যাণে সুদীর্ঘ ৮৬ বছর যাবৎ অক্লান্ত পরিশ্রম আর কঠোর সাধনা করেছেন।
বন্যা, ঘূর্ণিঝড় প্রভৃতি প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় আর্তমানবতার সেবার মনোভাব নিয়ে ছুটে যেতেন অসহায় মানুষের পাশে। বন্যা প্রতিরোধের জন্য বাঁধ নির্মাণ, খরায়, জল সেচের জন্য খাল খনন, যোগাযোগের জন্য রাস্তা নির্মাণ, মজা পুকুর পরিস্কার করা, বন-জঙ্গল পরিস্কার করা এই ছিল তার কাজ।
শিক্ষা প্রসারে তিনি নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন। গণমানুষের মুক্তির জন্য জীবনের পুরোটা সময় নিঃস্বার্থভাবে ব্যয় করেছেন। তাঁরই প্রচেষ্টায় রামদিয়া সরকারী এসকে কলেজ, রামদিয়া শ্রীকৃষ্ণ শশী কমল বিদ্যাপীঠ এবং রামদিয়া বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পরে চন্দ্রনাথ বসু দীর্ঘদিন কারাভোগের পর ১৯৫১ সালের ১৮ জুন মুক্তি পান। কারাভ্যন্তরেই তার সাথে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের অন্তরঙ্গতা গড়ে উঠে। পরে তিনি ভারতের পশ্চিম বাংলায় চলে যান।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে চন্দ্রনাথ বসু আবার নিজ জন্মভূমি গোপালগঞ্জের রামদিয়ায় ফিরে আসেন। ১৯৭৫ সালে আবার পশ্চিম বাংলায় ফিরে যান।
তার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল ঐতিহ্যবাহী রামদিয়া সরকারি শ্রীকৃষ্ণ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। কলেজটি প্রাচীনতার দিক থেকে বৃহত্তম ফরিদপুর অঞ্চলের দ্বিতীয় কলেজ। যে প্রতিষ্ঠানটি দক্ষিণাঞ্চলের সুনাম ও ঐতিহ্যের বৈজয়ন্তী বহন করছে। অথচ একেবারে নীরবে চলে গেল তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী।
Posted ৪:০৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০২ জুন ২০২০
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar