অগ্রবাণী ডেস্ক | ০৫ আগস্ট ২০১৭ | ৯:১৯ অপরাহ্ণ
কমিটি বাণিজ্য আর দেন দরবারের জন্য ছাত্রদলের একটি চিহ্নিত সিন্ডিকেট রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় একটি কার্যালয়ে নিয়মিত আড্ডার ব্যবস্থা করেছেন। সংগঠনটির নেতাকর্মীদের মতে, এটাও এক ধরনের দরবার শরীফ। এখানে অনেকে আসেন কমিটি নেয়ার জন্য আবার অনেকে আসেন নিরাপদ নেশার জন্য। এমনকি মাঝে মাঝে বিএনপির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসানকেও দেখা যায় এই দরবারে।
ছাত্রদল নেতাকর্মীরা জানান, সারাদেশে যেখানে ৫ জন নেতাকর্মীও জড়ো হতে পারেন না সেখানে সন্ধ্যার পরপরই ৩০-৪০ জনের ছাত্রদলের একটি গ্রুপ এখানে আড্ডা দেন। যা রহস্যজনক। তারা বলেন, ধানমন্ডি এলাকায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ের পাশে অবস্থিত রাইফেলস স্কয়ারের উল্টো পাশে ২ নং সড়কের ৩৪/১ বাড়িতে নিয়মিত অবস্থান করেন ছাত্রদলের সহ সভাপতি মামুন বিল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক আবদুর রহিম সেতু, শেখ কবির, সহ সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার মোশতাক সহ আরো অনেকে। আবার মামুন বিল্লাহকে সার্বক্ষনিক সহযোগিতার জন্য উপস্থিত থাকেন ঢাকা কলেজের সাধারণ সম্পাদক সজীব। এছাড়াও মাঝে মধ্যে এই দরবার শরীফে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিব আহসান, সহ সভাপতি ইখতিয়ার কবিরকেও দেখা যায়।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জানান, উল্লেখিত বাড়িটি একটি নাম স্বর্বস্য রাজনৈতিক দল “জাতীয় দল” এর চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদার। তিনি নিজেকে একজন অ্যাডভোকেট হিসেবে পরিচয় দিলেও কখনো আদালত চত্বওে দেখা যায়নি। তবে তার বাড়িতে ল’-এ্যাসোসিয়েসন সাইনবোর্ড ঝুলানো রয়েছে। তবে এহসানুল হুদার ঘনিষ্টজনরা দাবি করেন, হুদা মূলত নোটারী পাবলিকের কাজ করেন।
নেতাকর্মীরা জানান, এখানে আড্ডার মাধ্যমে ছাত্রদলের সহ সভাপতি মামুন বিল্লাহ ও তার সহযোগিরা বিভিন্ন নেশার ব্যবসাওও করেন। এর মধ্যে ইয়াবা রয়েছে পছন্দের প্রথম তালিকায়।
আবার এই দরবারের একটু দুরত্বেই ধানমন্ডি লেকের অপর পাশে ছাত্রদলের আরেক সহ সভাপতি তারেকুজ্জামান তার দল-বল নিয়ে নিয়মিত আড্ডা দেন। তিনিও এই এহসানুল হুদার ঘনিষ্টজন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জানান, ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নৈতিক অবক্ষয় ঘটানোর জন্যই পরিকল্পিতভাবে মাদকের দিকে ঠেলে নেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। এর অংশ হিসেবে অনেক তরুণ আর উদীয়মান ছাত্র নেতাদেরেেক টার্গেট করে এই আড্ডাস্থল কাজ করছে।