অনলাইন ডেস্ক | ২৪ অক্টোবর ২০১৭ | ৮:০১ অপরাহ্ণ
বরগুনার আমতলী হাসপাতাল সড়কের অ্যাডভোকেট মাঈনুল আহসান বিপ্লব তালুকদারের বাসা থেকে মালা (১৭) নামের এক কলেজছাত্রীর ৭ টুকরা ড্রাম ভর্তি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় আলমগীর হোসেন পলাশ(৪৫) নামে একজনকে আটক করেছে আমতলী থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন পলাশ।
আমতলী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলার ঘুদিঘাটা গ্রামের আব্দুল মন্নান হাওলাদারের মেয়ে এবং কলাপাড়া মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী মালার সঙ্গে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার বাসন্ডা গ্রামের মৃত আ: লতিফ হাওলাদারের ছেলে বরগুনার ঘটবাড়িয়া আদর্শ কলেজের প্রভাষক আলমগীর হোসেন পলাশের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ৭ বছর পূর্বে সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালে মালার সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের জের ধরে ২২শে অক্টোবর পলাশ মালাকে নিয়ে তার ভাগ্নি জামাই আমতলীর হাসপাতাল সড়কের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট মো. মাঈনুল আহসান বিপ্লব তালুকদারের বাসায় বেড়াতে যায়।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে অ্যাডভোকেট মাঈনুলের স্ত্রী তার ছেলেকে নিয়ে স্কুলে গেলে ওই সুযোগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পলাশ মালাকে ধারালো বটি দিয়ে জবাই করে। জবাই করার পর মালার ঘাড় থেকে মাথা বিছিন্ন করে ফেলে এবং হাত পা ও দেহ দুই টুকরাসহ মোট ৭ টুকরা করে দুটি ড্রামে ভরে লাশ ঘরের একটি কক্ষে লুকিয়ে রাখে। ভাগ্নি জামাই বিপ্লবকে এই খুনের কথা জানায়। বিল্পব বিষয়টি আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সহিদ উল্যাহকে জানালে তিনি পুলিশ নিয়ে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিপ্লবের বাসায় অভিযান চালিয়ে ঘরের বিভিন্ন কক্ষে লুকিয়ে রাখা ড্রাম ভর্তি মালার ৭ টুকরা লাশ উদ্ধার করে। পরে আলমগীর হোসেন পলাশকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুনী আলমগীর হোসেন পলাশ খুনের কথা স্বীকার করে। সে জানায়, মালা আমাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় আমি তাকে খুন করে লাশ ৭ টুকরা করে ড্রামে ভরে রাখি।