
ডেস্ক রিপোর্ট | শনিবার, ২১ মে ২০২২ | প্রিন্ট
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেন্ট্রাল নবীনবরণ। এরআগে ২০১৫ সালেল সপ্তম ব্যাচের সেন্ট্রাল নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।
বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম মোস্তফা কামাল খান আসার পর ১৩ম ব্যাচের সেন্ট্রাল নবীনবরণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দীর্ঘদিন পর প্রাণের ক্যাম্পাসে হচ্ছে সেন্ট্রাল নবীনবরণ।
ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অষ্টম ব্যাচের শর্মী ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ছয় বছর পর আবারো কেন্দ্রীয় নবীনবরণ হচ্ছে। যেখানে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগরাও উপস্থিত থাকতে পারবেন। অভিভাবকরা তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে পারবেন যেটা ভালোলাগার মতো বিষয়। আমরা এরকম নবীনবরণ পাইনি। কিন্তু আমরা মেনে নিয়েছি কারণ পরিবর্তন আসতে সময় লাগবে। সেই পরিবর্তনের আভাস পাচ্ছি। কেন্দ্রীয়ভাবে নবীনবরণ আবারো শুরু হয়েছে, আশা করছি অব্যাহত থাকবে।
সমাজকর্ম বিভাগ, ৯ম ব্যাচের সোহানা আক্তার প্রিয়া বলেন, ছয় বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো সেন্ট্রাল নবীনবরণ হচ্ছে। এটা খুবই আনন্দের। আমরা সেন্ট্রাল নবীনবরণ পাইনি। তবুও এই অনুষ্ঠানে দেখে আমাদের নবীনবরণের স্মৃতি বার বার মনে পড়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে এইতো সেই দিন ডিপার্টমেন্ট থেকে আমাদের নবীনবরণ দেয়া হলো। সেন্ট্রাল নবীনবরণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এটা ভালো উদ্যোগ। আশা করি সামনের দিনগুলোতে অব্যাহত থাকবে।
স্থাপত্য বিভাগ, ৯ম ব্যাচের আরাফাত আহমেদ শিশির বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমদিন স্মরণীয় দিন। আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে নবীনবরণ দেখতে পাইনি। এবার কেন্দ্রীয় নবীনবরণ হচ্ছে যেটা খুবই ভালো দিক। আমাদের যদি কেন্দ্রীয় নবীনবরণ হতো তাহলে প্রথমদিনের অনেক স্মৃতিই মনে থাকতো। আশা করি এই অনুষ্ঠান সফল হবে এবং সামনের প্রতিটি বছরেই এই ধরনের অনুষ্ঠান হবে।
গণিত বিভাগ, ১০ম ব্যাচের মহিম হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমদিনের চমৎকার অনুভূতির কথা কখনোই ভোলার নয়। নতুন জায়গা, নতুন বন্ধু, সব মিলিয়ে এক চমৎকার অনুভূতি। বিগত ছয় বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেন্ট্রাল কোনো নবীনবরণ করা হয়নি। ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ভাগ্যবান বলতে হবে। তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুন্দর একটা নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে যাচ্ছে।
পরিসংখ্যান বিভাগ, ১১তম ব্যাচের সৈকত ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার সেন্ট্রাল নবীনবরণ হচ্ছে দেখে ভালো লাগছে। বিশ্ববিদ্যালয় সব দিক থেকে পূর্নাঙ্গ হতে থাকবে এইটাই আমাদের চাওয়া। আমরা চাই নবীনদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হতে প্রতিবছরই বরণ করে নেয়ার ধারা চলমান থাকুক। নবীনদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এটাই চাওয়া।
ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগ, ১২তম ব্যাচের সাদিয়া আরেফিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রথমদিন নিয়ে নবীনদের মনের মধ্যে কি চলছে তা বুঝতে পারছি কারণ এই দিনটি আমার জীবনেও এসেছে। কিন্তু এই বছরে নবীনদের অনুভূতি একটু ভিন্ন। প্রথমত করোনায় সব স্থির হয়ে যাওয়াতে কাঙ্ক্ষিত সময়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয় আসতে পারেনি। দ্বিতীয়ত ছয় বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার সেন্ট্রাল নবীনবরণ হচ্ছে। বিষয়টা নিয়ে নবীনরা যে রকম উৎসুক আমরা বর্তমান শিক্ষার্থীরাও তেমন উৎসুক।
Posted ২:২৭ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২১ মে ২০২২
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar