নিজস্ব প্রতিবেদক | ২২ জানুয়ারি ২০২০ | ২:২৬ অপরাহ্ণ
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমির ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে বেশ জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণা। প্রার্থীরা দিনরাত ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। তারা নির্বাচিত হলে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৭ মার্চ । নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ উর্ত্তীন হওয়ার এক মাস আগে তা পুনঃগঠনের জন্য নির্বাচন দেয়ার বিধান রয়েছে। সেই জন্যই নির্বাচন অফিসার তফসিল ঘোষনা করেন। আগামী ২৩ জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে বিদ্যালয়ে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৭ মার্চের পর নবনির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে বর্তমান কমিটি। সে অনুযায়ী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পাঁচটি পদের জন্য মনোনয়নপত্র ক্রয় করেন বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের মধ্যে ১০ জন প্রার্থী।
এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীদের মধ্যে দুটি প্যানেল তৈরী হয়েছে। একটি প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন- ফরিদপুর জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য শেখ শহীদুল ইসলাম শহীদ। অন্য আরেকটি প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন – সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খান বেলায়েত হোসেন।
জেলা পরিষদ সদস্য শেখ শহীদুল ইসলাম শহীদের প্যানেলে অভিভাবক সদস্য পদে রয়েছে মো. পলাশ শেখ, আব্দুল বাতেন মিয়া, মনিরুল ইসলাম (লাভলু), মো. লুৎফর রহমান ও সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য পদে সেলিনা জামান রুমা।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খান বেলায়েত হোসেনের প্যানেলে অভিভাবক সদস্য পদে রয়েছেন- আঃ মান্নান খাঁন, আশরাফ আলী খাঁন, উবাইদুর রহমান, মো. ইউনুচ শেখ ও সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য পদে রেহানা পারভীন।
অন্যান্য নির্বাচনের মত এই অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনেও ভোট চাওয়ার ধুম চলছে প্রার্থীদের মধ্যে।এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গোপালপুর ইউনিয়ন জুড়ে উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। এলাকাজুড়ে হাট-বাজার ও বিভিন্ন মোড়ের চায়ের দোকানে সরগরম। ক্রমিক নাম্বার সম্বলিত লিফলেট নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন এসকল প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা। এ নির্বাচনে শুধু প্রার্থীরাই কাজ করছে না। এ সকল প্রার্থীদের নেপথ্যে কাজ করছে প্রার্থীদের স্থানীয় ভক্ত ও শুভানুদ্ধায়ীরা। এ সকল ভক্তবৃন্দ ঐ সকল প্রার্থীদের নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট চাচ্ছেন।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, এ দু’টি প্যানেলের মধ্যে প্রচার- প্রচারণা ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছেন জেলা পরিষদ সদস্য শেখ শহীদুল ইসলাম শহীদের ( মো. পলাশ শেখ, আব্দুল বাতেন মিয়া, মনিরুল ইসলাম (লাভলু), মো. লুৎফর রহমান, সেলিনা জামান রুমা) প্যানেল। প্রার্থীদের সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা থাকা, বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মান বৃদ্ধি ও অভিভাবকদের সাথে ওতপ্রতভাবে সম্পৃক্ত থাকায় এ প্যানেল জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে।
কয়েকজন ভোটারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিগত দিনে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আরিফুর রহমান দোলনের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে বেশ উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। তাই তিনি যেদিকে সমর্থন দিবেন সেদিকেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
জানতে চাইলে জেলা পরিষদ সদস্য শেখ শহীদুল ইসলাম শহীদ বলেন, আমাদের প্রার্থীরা বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের সাথে ঘনিষ্ঠ ও ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। সামাজিকভাবেও গ্রহণযোগ্য।
তিনি বলেন, কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জননেতা আরিফুর রহমান দোলন বিদ্যালয়সহ এ অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। আমাদের প্রার্থীরা আরিফুর রহমান দোলনের এ উন্নয়ন কাজের সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। এ কারণে অভিভাবকরা আমাদের প্রার্থীদের সমর্থন দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও এ অঞ্চলের জনপ্রিয় নেতা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আরিফুর রহমান দোলনের আমাদের প্রার্থীদের প্রতি সমর্থন আছে। সে কারণে আমরা খুবই আশাবাদী বিজয়ের ব্যাপারে।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল আওয়াল আকন বলেন, ‘উৎসব মুখর পরিবেশে দশ জন প্রার্থীকে আগামী ২৩ তারিখে ভোট প্রদান করবেন ভোটাররা এবং আশা করা যায় নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হবে।’