ডেস্ক | ০১ জানুয়ারি ২০২০ | ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ
বহুল আলোচিত নেতা হাসিবুল ইসলাম জয় জাতীয় পার্টি ছাড়ছেন! এমনটি ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও জিএম কাদেরের ঘনিষ্ট ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত জয় সম্প্রতি দলের মধ্যে আলোচনার তুঙ্গে আছেন। গত ২৮ ডিসেম্বর জাপার কাউন্সিলে গোলাম মোহাম্মাদ কাদের দলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর জয় অনেকটা আড়ালে চলে যান।
কী কারণে চুপচাপ রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জীবদ্দশায় জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পিতৃতুল্য মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সাহেব আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন জিএম কাদের ওরফে সেলিমের সঙ্গে থাকার জন্য। আমি উনার জীবদ্দশায় কথা দিয়েছিলাম, আমার শেষ নিঃশ্বাস থাকা পর্যন্ত আমি জিএম কাদেরের জন্য কাজ করে যাবো। জয় বলেন, তখন স্যার এরশাদকে আমি বললাম, আপনি দোয়া করবেন। তিনি দোয়া করার পর আমি উনাকে কথা দিয়েছিলাম। আমি জিএম কাদেরের সঙ্গে থাকবো। সে কথা আমি রেখেছি।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে জয় বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পল্লীপিতা এরশাদ আমাকে দলের যুগ্ম মহাসচিব বানিয়ে সম্মানিত স্থানে অধিষ্ঠিত করেছেন। যার যোগ্য আমি কি না, সেটা আমি জানি না। তবে এটা জানি জিএম কাদেরকে যে কোনো প্রতিকূলতার অবসান ঘটিয়ে তাকে আমি বা আমরা দলের চেয়ারম্যান করা চ্যালেঞ্জ ছিলো। সে চ্যালেঞ্জে সফল হয়েছি। এটাই আমার সবচেয়ে বড় স্বার্থকতা। আমি আমার মরহুম স্যার এরশাদকে যেকথা দিয়েছি, সেকথা রাখতে পেরেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে জয় বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে জিএম কাদেরের মতো একজন সুশিক্ষিত, মার্জিত, স্বজ্জন ভালো মানুষের আগমন ঘটেছে। এইটা হচ্ছে আমার বড় সফলতা। এখন থেকে আমি নিজেকে আজ গুটিয়ে নিচ্ছি। অদূর ভবিষ্যতে রাজনীতিতে আসবো কি না জানি না।
তিনি বলেন, এখন থেকে আমি বিদায় নিচ্ছি। হয়তো অনেকে কষ্ট পাবেন বা নিবেন। এটার জন্য আমি দুঃখিত। দেশ একজন স্বজ্জন, সৎ ও ভালো মানুষকে রাজনীতিতে পেয়েছে। এটা আমাদের স্বার্থকতা ও সফলতা।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো অর্থ, ক্ষমতা, পদ-পদবী আমাকে আকৃষ্ট করতে পারেনি। আমি নিজেকে সেভাবে তৈরী করেছি। আমার বাবা-মায়ের আদর্শকে সামনে রেখে ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে যাবো।