
ডেস্ক রিপোর্ট | বুধবার, ২৫ মে ২০২২ | প্রিন্ট
মানবতার কবি, প্রেমের কবি, বিদ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি আমাদের জাতীয় কবি। ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবিকে কলকাতা থেকে একটি নতুন, স্বাধীন দেশ বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। ঢাকায় আনার পর তাঁকে জাতীয় কবির মর্যাদায় ভূষিত করা হয়। এ মর্যাদার পেছনে রয়েছে নজরুলের লেখায় বাঙালি জাতি গঠনের মৌলিক তাগিদ এবং শান্তি-সম্প্রীতির জন্য ঐক্য ও সাম্যের প্রতি কবির আজীবনের সাধনা।
জাতীয় কবি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামের ঢাকায় পদার্পণের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শিক্ষাবিদ ও নজরুল গবেষক মোহিত উল আলম বলেন, আজ থেকে ঠিক ৫০ বছর আগে কবি নজরুল স্বাধীন বাংলাদেশে আসেন। বঙ্গবন্ধুর বহু মৌলিক কাজের মধ্যে অন্যতম হলো কবি নজরুলকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত। তখন কবির ছিল ৭৩তম জন্মবার্ষিকী। কিন্তু ১৯৪২ সাল থেকে তিনি জাগতিক চেতনালুপ্ত ছিলেন। বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে তাঁর সম্মান ও স্বীকৃতি পাওয়া যথার্থ। নজরুল যেমন দুঃখী মানুষের কষ্ট দেখে ফুঁসে উঠেছিলেন; বঙ্গবন্ধু তেমনি দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। এই একই উদ্দেশ্যে যেহেতু দু’জনের জীবন ধাবিত ছিল; এটি প্রায় একটি ঐতিহাসিক নিশ্চয়তা হয়ে পড়ে- বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ নামে যে রাষ্ট্রকে স্বাধীন করলেন, সেটারই জাতীয় কবি হবেন নজরুল। বঙ্গবন্ধুকে রাজনীতির কবি বলা হয়, তেমনি নজরুলকে কবিতার রাজনীতিক বলা যায়। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হওয়ার পর এবার আমরা জাতীয় কবির ঢাকায় আসার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।
Posted ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৫ মে ২০২২
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar