হাফিজ শরীফ | ১৭ মে ২০১৭ | ৮:৫২ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ সরকারের ডাইরেক্টর অফ হেলথ সার্ভিসেস (ডিজিএইচ এস) ও জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি এর উদ্যোগে আঞ্চলিক পর্যায়ে হেলথ ইনফরমেশন সিস্টেম এর প্রশিক্ষণার্থীদের কে প্রশিক্ষণ দেওয়ায় লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষক তৈরির জন্য tot of TB Reporting on DHIS2 এর উপর ২ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষনের ১ম দিনের প্রশিক্ষন আজ বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দাতা সংস্থা ইউএস এইড এর সহায়তায় পরিচালিত আমেরিকান বেসরকারি সংস্থা Management Science for Health নামক সংস্থার চ্যালেঞ্জ টিবি ও সাইয়াপ্স বাংলাদেশ প্রজেক্ট এর আর্থিক সহযোগিতায় ডিজি হেলথ (MIS-এম আই এস) কনফারেন্স রুম, ডিজি হেলথ এর কার্যালয়, মহাখালী, ঢাকা তে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২ দিনের এই প্রশিক্ষিন কর্মশালার ১ম দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মানিত জনাব ডাঃ মোঃ এহতেশামুল হক চৌধুরী, এসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর জেনারেল (এডমিন) ও লাইন ডাইরেক্টর টিবি লেপ্রসি এবং এইডস ও এসটিডি, ডাঃ আশিষ কুমার সাহা,ডাইরেক্টর-এম আই এস এবং লাইন ডাইরেক্টর-টিবি লেপ্রসি & এএসপি এর সভাপতিত্বে, ডাঃ রুশেলি হক, ডিরেক্টর (এমবিওডিস), জাতীয় যক্ষ্মারোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, বাংলাদেশ, চ্যালেঞ্জ টিবি বাংলাদেশ প্রোজেক্ট এর কান্ট্রি প্রজেক্ট ডিরেক্টর সম্মানিত জনাব ডাঃ অস্কার কর্ডন এবং ডাঃ জাহেদুল ইসলাম, কান্ট্রি প্রজেক্ট ডাইরেক্টর, সাইয়াপস প্রজেক্ট এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ডাঃ আহমাদুল হাসান খান, মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন এক্সপার্ট, জাতীয় যক্ষ্মারোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, বাংলাদেশ এর সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে প্রধান ট্রেইনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জনাব হান্নান খান, কান্ট্রি কোর্ডিনেটর, ডি এইচ এস ২ এবং সেক্রেটারি, এইচ আই এস পি বাংলাদেশ, ডাঃ সানাউল বাশার, ইউসএ আইডি ফান্ডেড সাইয়াপস প্রজেক্ট এর সিনিয়র টেকনিক্যাল এডভাইজার, ডাঃ শাহরিয়ার কবির, মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন এডভাইজার, মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন অফিসার জনাব তাওহিদুল ইসলাম, ফিল্ড কোর্ডিনেশন ম্যানেজার জনাব হিমাংশু কর্মকার । প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদের পিছিয়ে থাকলে হবে না। প্রতিটি সেক্টরেই আমাদের এগিয়ে যাওয়ার স্বাক্ষর রাখতে হবে।এ উদ্দ্যেশে তিনি বলেন, বাঙ্গালীরা পারেন না এমন কোন কাজ নাই। স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নয়নের কথা স্মরন করে তিনি বলেন, আগে কোন আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করলে আমাদের কথা বলতে দিতনা। অথচ এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সেমিনার গুলিতে এখন আমরা চেয়ারপার্সন এর দায়িত্ব পালন করছি। সেমিনার শেষে আমাদেরকে ঘিরে ধরে আমাদের উন্নতির পদ্ধতি গুলি জানতে মরিয়া হয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। তিনি আরও বলেন, ঘুষ খাননা বলে নিজের উপার্জন কে সৎ উপার্জন ভেবে বসে আছেন, ঘুষ না খাওয়াই শুধু নয়, সেই সাথে অফিসে যথেষ্ট কাজ না করাও অসততা। স্বাস্থ্যখাতের ওয়েব বেইজ তথ্য উপাত্ত পাওয়ার এই পদ্ধতিটি, পৃথিবী ব্যাপী ব্যাপক সাড়া ফেলেছে বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি জনাব ডাঃ আশিষ কুমার সাহা বলেন, ট্রেইনিং এ মনোযোগ দিয়ে খুঁটিনাটি বিষয় গুলি ভালোভাবে আয়ত্ব করে মাঠপর্যায়ে প্রশিক্ষক হিসেবে যোগ্যতার প্রকৃষ্ট উদাহারন হতে হবে। এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথির ভাষনে ডাঃ রুশেলি হক বলেন, যক্ষ্মারোগীদের তথ্য পর্যাপ্ত পরিমানে, নিয়মিত ও ভালো করার জন্য প্রশক্ষনের বিকল্প নাই। তেমনি কর্মস্থলে গিয়ে এর প্রয়োগ না করলে, সরকারের সকল প্রচেষ্টাই ব্যার্থতায় পর্যবসিত হবে। ও পরামর্শ ব্যতিত যক্ষ্মারোগ নির্মুল করা সম্ভব হবে না। ডাঃ অস্কার কর্ডন তার বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মেধা ও কর্মদক্ষতা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মানুষের চেয়ে অধিক।তিনি মেধা ও দক্ষতা দিয়ে,তথ্য ও পরিসংখ্যান এর মিলিত প্রবাহে একটি স্বার্থক কর্মসূচির সাফল্য আনতে হবে। ইউএস এ আইডি সেই লক্ষ্যেই সহযোগিতা করে আসছে। ডাঃ জাহিদ তার বক্তব্যে বলেন, এম এস এইচ এর সায়াপ্স প্রজেক্টই বাংলাদেশে যক্ষ্মারোগের ওয়েব বেইজ ডাটা সংরক্ষন পদ্ধিতি সুচনা করেন যা বিশ্বে প্রথম। অনুষ্ঠানে ডাঃ মোঃ আশরাফ উদ্দিন ডেপুটি লাইন ডিরেক্টর ও প্রজেক্ট ম্যানেজার (এমবিডিসি),ডাঃ আব্দুল হামিদ, ডিপিএম, এনটিপি,সরকার মোঃ আব্দুল মুনেম,ডিভিশনাল কোর্ডিনেটর,বরিশাল, শাহাদত হোসেন,খুলনা,নিজামুল ইসলাম,চট্রগ্রাম সহ ফরিদপুর, বরিশাল, ঢাকা,খুলনা,সিলেট, অঞ্চলের বিভাগীয় ও জেলাপর্যায় থেকে প্রশিক্ষনার্থীগন উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তী সময়ে সকল বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের পরিসংখ্যানবিদদের কে নিয়ে মাঠ পর্যায়ে এই রকম কর্মসূচির আয়োজন করার মাধ্যমে সরকারের স্বাস্থ্য তথ্য কার্যক্রম সফল করতে হবে বলে জানা যায়।