অনলাইন ডেস্ক: | ২১ জুলাই ২০১৭ | ১০:৪৬ অপরাহ্ণ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘জাপানের ফার্স্ট লেডি একদম ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন না। এমনকি ‘‘হ্যালো’’ পর্যন্ত বলতে পারেন না।’
জার্মানির হামবুর্গে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের চূড়ান্ত নৈশভোজে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে গোপন বৈঠকের কারণ ব্যাখ্যা করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই মন্তব্য করেন।
চলতি মাসের ৭ থেকে ৮ জুলাই জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। চূড়ান্ত নৈশভোজে পুতিনের সঙ্গে গোপন বৈঠকের বিষয়ে এত দিন পর মুখ খুললেন ট্রাম্প।
আজ শুক্রবার ইনডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের চূড়ান্ত নৈশভোজে পুতিন-ট্রাম্পের গোপন বৈঠকে জাপানের ফার্স্ট লেডিকে উপেক্ষা করা হয়েছে ধারণা করা হচ্ছে।
কেন নৈশভোজে পাশের আসনে থাকা জাপানের ফার্স্ট লেডিকে এড়িয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক—এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘‘আকি আবে (জাপানের ফার্স্ট লেডি) একদম ইংরেজি বলতে পারেন না। এমনকি ‘হ্যালো’ পর্যন্ত বলতে পারেন না। আর নৈশভোজ ছিল প্রায় এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের মতো। এত সময় তাঁর পাশে থাকাটা খুব কঠিন ছিল।’’
ট্রাম্প বলেন, ‘তাঁর (আকি আবে) স্বামী জাপানের প্রেসিডেন্ট শিনজো আবে খুবই ভালো মানুষ। সেখানে একজন জাপানি অনুবাদকও ছিলেন। তা না হলে বিষয়গুলো বোঝা খুব কঠিন হতো।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘তবে আমি সেদিন সন্ধ্যায় তাঁর সঙ্গে (আকি আবে) আলাপ করেছি। তিনি খুব আন্তরিক একজন মানুষ। ওই সময়টা আমি খুব মজা পেয়েছি। আসলে পুরো ব্যাপারটাই বেশ ভালো ছিল।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানের ফার্স্ট লেডি একদম ইংরেজি বলতে পারেন না—ট্রাম্পের এই মন্তব্য সঠিক নয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, আকি আবে জাপানের এক বিত্তশালী পরিবারের মেয়ে। তিনি টোকিওর স্যাকরেড হার্ট স্কুলে (রোমান ক্যাথলিক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল) পড়াশোনা করেছেন। সে সময় তাঁর পাঠ্যক্রমে ইংরেজি ভাষা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ট্রাম্পের এই বক্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ৫২ বছর বয়সী জাপানের ফার্স্ট লেডির একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, জাপানের ফার্স্ট লেডি কাজ চালানোর মতো যথেষ্ট শুদ্ধ ভাবে ইংরেজিতে বক্তব্য দিচ্ছেন। এ থেকে অনেকেই ধারণা করছেন, সেদিন জাপানের ফার্স্ট লেডি হয়তো ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে চাননি।
ট্রাম্প-পুতিনের ওই গোপন বৈঠকের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত হোয়াইট হাউস কিছু জানায়নি। এমনকি শুরুতে এই বৈঠকের ব্যাপারটি নাকচ করে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এ কারণেই তা এখন আলোচনায় চলে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প-পুতিনের ওই গোপন বৈঠকে কোনো মার্কিন কর্মকর্তা বা কোনো অনুবাদকও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে শুধু ওই দুই নেতাই ছিলেন। তাই তাঁদের মধ্যে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছিল তার কোনো রেকর্ড নেই।
এ ব্যাপারে নিউইয়র্ক টাইমসকে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ‘সেখানে আমরা রাশিয়ার শিশুদের দত্তক নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করেছি। অন্য সময়ের চেয়ে ওই সময়টা বেশ আনন্দদায়ক ছিল। আর আমি এ ধরনের আনন্দই খুঁজে বেড়াই।’ কয়েক বছর আগে রাশিয়ার শিশুদের যুক্তরাষ্ট্রে দত্তক নেওয়ার বিষয়টি বন্ধ হয়ে যায়।