ঢাবি প্রতিনিধি | ০৬ মার্চ ২০১৮ | ৭:৩২ অপরাহ্ণ
মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, শিক্ষাবিদ ও লেখক অধ্যাপক জাফর ইকবালের উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন করেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এবং সৃজনশীল প্রকাশকবৃন্দ। মানববন্ধন থেকে জাফর ইকবালের উপর হামলাকারী এবং তার নেপথ্যে মদদ দাতাদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের মহাসচিব আখতারুজ্জামান, অনুপম প্রকাশনীর মিলন কান্তি নাথ, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য রফিকুল ইসলাম, গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের পক্ষে মানজার চৌধুরী সুইট প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে গোলাম কুদ্দুস বলেন, হুমায়ুন আজাদ থেকে শুরু করে অভিজিত রায় এবং সবশেষে জাফর ইকবাল, যশোরে উদীচীর জনসভায় হামলা, ছায়ানটের অনুষ্ঠানে হামলা সবই একই সূত্রে গাঁথা। এটা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত সেই অপশক্তির এদেশে বিচরণের ফল। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে, অসাম্প্রদায়িক দেশের কথা বলে, প্রগতির কথা বলে তারাই এসব অপশক্তির প্রধান টার্গেট। তাদের সর্বশেষ শিকার হলেন অধ্যাপক জাফর ইকবাল।
তিনি বলেন, জাফর ইকবালের মতো মানুষের উপর হামলার পরও আমরা জাতীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে পারিনি। এখনও অনেকে মন্তব্য করছেন, ‘সরকার আগামী নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য এসব সাজাচ্ছে’। আমাদের মধ্যে এখনও ক্ষমতার লোভ দানা বেঁধে আছে। আমরা যারা প্রগতিশীল মনোভাবাপন্ন মানুষেরা আছি তাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আন্দোলন চালিয়ে যাবে যতদিন এদেশ থেকে জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, কূপমন্ডুকতা, ধর্মান্ধতা দূর না হবে। দেশে এক শিক্ষানীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে যুক্তিকে প্রাধান্য দিতে হবে। আমাদের সন্তানদের মানবিক মূল্যবোধ ও অসাম্প্রদায়িক মানসিকতায় গড়ে তুলতে হবে। অন্যথায় এ ধরণের ঘটনা বারবার ঘটবে। শুধু নিরাপত্তা দিয়ে কিছু হবে না। জঙ্গিবাদের উত্থানের পথ নিয়ন্ত্রন করতে হবে।
মানববন্ধনে তারা বিভিন্ন পোস্টার প্রদর্শন করেন। তাতে লিখা ছিল- ‘আমরা দীপু রাশেদ’, ‘জাফর ইকবাল বাংলাদেশের প্রাণশক্তি’, ‘সকল প্রকার জঙ্গি হামলার দায় বাংলাদেশ রাষ্ট্রের’, ‘হামলা করে স্বপ্ন ভাঙা যাবে না’, ‘হুমায়ুন থেকে ইকবাল, এভাবে আর কতকাল?’ ‘জঙ্গিবাদী হামলা রুখে দাও বাংলা’, আমরা কি বেঁচে আছি অন্যদের সময়ে?’ ‘১৪ই ডিসেম্বর কি আবার ফিরে এলো?’ ‘বাংলাদেশ বাংলাস্তান না হোক’, ‘সবকিছুই কি নষ্টদের অধিকারে যাবে?’ ‘ব্যানার নয় প্রতিবাদ চাই’