
বিশেষ প্রতিবেদক | শনিবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২০ | প্রিন্ট
২০ দলীয় জোটের দ্বিতীয় বৃহৎ দল জামায়াত ও এলডিপিকে নিয়ে বিএনপির হিসাব-নিকাশ এখন প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে বলে জানা গেছে। বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের বেশির ভাগ নেতা মনে করেন, জামায়াত ও এলডিপিকে নিয়ে আর সামনে অগ্রসর হওয়া যাবে না। তাই কোন প্রক্রিয়ায় দল দুইটিকে জোট থেকে বিদায় করা হবে, তা নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চলছে।
বিএনপির কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, জামায়াত ও এলডিপিকে বিদায় করার একটি ফর্মুলা হচ্ছে, ২০ দলীয় জোট এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট—দুটিই ভেঙে দিয়ে নতুন করে বৃহত্তর জোট গঠন এবং জামায়াত ও এলডিপিকে তার বাইরে রাখা। অর্থাৎ দলদুইটিকে জোটের বাইরে ঠেলে দেওয়া।
একটি সূত্রের দাবি, জামায়াত ও এলডিপির বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বিএনপিপন্থী সুধীসমাজের পাশাপাশি দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের পরামর্শের সূত্র ধরে লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও এখন নড়েচড়ে বসেছেন। তিনি দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের কাছ থেকে এ বিষয়ে মতামত নিচ্ছেন। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মতামত নেওয়ারও চেষ্টা চলছে। তাঁর কাছ থেকে কোনো বার্তা পাওয়া গেলে সমঝোতার ভিত্তিতেই জোটের বাইরে রাখা হবে রাজনৈতিক মিত্র জামায়াত ও এলডিপিকে।
এদিকে সর্বশেষ গত ২৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে জামায়াত অংশ নেয়নি। এর আগে ২৮ ডিসেম্বরের বৈঠকেও যায়নি দলটি। ওই বৈঠকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের প্রতি শরিকরা সমর্থন জানিয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান। কিন্তু বিএনপির প্রার্থীরা জানান, কোনো এলাকায়ই তাঁদের প্রচারে জামায়াতের নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি।
অন্যদিকে এলডিপি ২০ দলীয় জোটের সবচেয়ে শক্তিশালী দল হওয়া সত্ত্বেও এলডিপি থেকে বাদ পড়া কিছু নেতাদের দিয়ে আরেকটি এলডিপি গঠন করে তাদের ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে দাওয়াত দেওয়াকে ভালো চোখে দেখেননি এলডিপির নেতারা। কাগজে কলমে জামায়াত ও এলডিপি ২০ দলীয় জোটের শরীক হলেও বিএনপি তাদের মাইনাসের চেষ্টা চালাচ্ছে।
এদিকে বিএনপিও ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে জামায়াত ও এলডিপি থেকে দূরে থাকার কৌশল নিয়েছে। গত ৮ জানুয়ারি ড. কামাল হোসেনসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের কাছে বিএনপির দুই মেয়র পদপ্রার্থী সমর্থন চাইতে গেলেও জামায়াত ও কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রমের কাছে যাননি।
Posted ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২০
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar