অনলাইন ডেস্ক | ০৬ জুলাই ২০১৮ | ৯:৩১ অপরাহ্ণ
উরুগুয়ে-ফ্রান্সের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ বেলজিয়াম। ৬ জুলাই, শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় বেলজিয়ামের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে কাজান অ্যারেনায়। এটাই ওই ভেন্যুতে রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ।
এবারের বিশ্বকাপে ভেন্যু হিসেবে আলাদাভাবে পরিচিতি পেয়ে গেছে কাজান অ্যারেনা। এই পরিচিতি এসেছে মূলত বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জার্মানি ও রানার্সআপ আর্জেন্টিনার বদৌলতে। এই ভেন্যু থেকেই বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ হয়েছে সর্বশেষ আসরে শীর্ষস্থানে থাকা দুল দুটির।
গেল ২৭ জুন কাজানে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল জার্মানরা। বাঁচা-মরার সেই ম্যাচে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না টনি ক্রুস-মেসুত ওজিল-ম্যানুয়েল ন্যুয়ারদের সামনে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ২-০ ব্যবধানে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে জোয়াকিম লোর শিষ্যদের।
বল ও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রাখলেও গোলের দেখা পায়নি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। অন্যদিকে অতিরিক্ত সময়ের গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দক্ষিণ কোরিয়া। তাতেই শেষ হয় জার্মানির বিশ্বকাপ মিশন।
তিন দিনের ব্যবধানে একই ভেন্যুতে ডুবেছে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ তরী। সাদামাটা শুরুর পরও গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নাইজেরিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছিল আলবিসেলেস্তেরা। নক আউট পর্বে ভালো কিছু করার লক্ষ্য নিয়েই কাজান এসেছিল লিওনেল মেসির দল। কিন্তু হোর্হে সাম্পাওলির শিষ্যদের সেই স্বপ্ন নিমেষেই গুঁড়িয়ে যায় ফরাসি উত্থানে। ৪-৩ গোলের পরাজয়ে বিশ্বকাপ মিশন শেষ হয় মেসি ও তার দলের।
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার এমন পরিণতির পর অনেকেই হয়তো ভেবে রেখেছিল শেষ ষোলোয় থামবে টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট ব্রাজিলের বিশ্বকাপ মিশন। কিন্তু শেষ ষোলোতে মেক্সিকোর বিপক্ষে পরীক্ষায় ভালোভাবেই উতরে গেছে নেইমার-কোটিনহোরা। মেক্সিকানদের ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করে তিতের শিষ্যরা।
এবার ব্রাজিলের পরীক্ষা ইতোমধ্যেই ‘অপয়া’ ভেন্যু হিসেবে পরিচিত পাওয়া কাজানে। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের প্রতিপক্ষ ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের তৃতীয় অবস্থানে থাকা বেলজিয়াম।
র্যাঙ্কিংয়ে দুই দলের মধ্যকার পার্থক্যটা কেবল এক। অন্যদিকে এবারের বিশ্বকাপে শুরু থেকেই উড়ছেন লুকাকু-হ্যাজার্ডরা।
কাগজে-কলমে যে দল যতই শক্তিশালী হোক না কেন, সবার আগে ঘুরেফিরে আলোচনায় আসছে কাজানের নামটি। যে মাঠে ব্যর্থ হয়েছেন ক্রুস-মুলার, মেসি-অ্যাগুয়েরোর মতো তারকারা, সেখানে কতটা সফল হবেন নেইমার-কোটিনহো? কাজানের অপয়া ভেন্যুর তকমা ঘুচিয়ে তারা দলকে সেমিফাইনালের কাঙ্ক্ষিত টিকেট এনে দিতে পারবেন, নাকি বড় দলগুলোর মতো কাজান ট্র্যাজেডির স্বীকার হয়ে ধরতে হবে দেশে ফেরার ফ্লাইট, সেই প্রশ্নই এখন ঘুরছে।