অনলাইন ডেস্ক | ৩০ জুলাই ২০১৭ | ২:২২ অপরাহ্ণ
জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় চার সাক্ষীকে জেরা করার অনুমতি পেয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
তাদের আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার এই আদেশ দেয়।
খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, জাকির হোসেন ভূঁইয়া ও রাগীব রউফ চৌধুরী। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ সাক্ষীকে জেরা করার আবেদন বিচারিক আদালতে প্রত্যাখাত হওয়ার পর হাই কোর্টে এসেছিলেন খালেদার আইনজীবীরা।
তাদের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের ৬ নম্বর সাক্ষী জনতা ব্যাংকের উপ ব্যবস্থাপক শেখ মকবুল আহমেদ, ১২ নম্বর সাক্ষী স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আমিরুল ইসলাম, ১৩ নম্বর সাক্ষী স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজার অমল কান্তি চক্রবর্তী এবং ১৭ নম্বর সাক্ষী দুদকের উপ পরিচালক চৌধুরী এম এন আলমকে জেরার অনুমতি দিয়েছে হাই কোর্ট।
এছাড়া ১৬ নম্বর সাক্ষী মো. সাইফুল ইসলামকেও জেরা করতে চেয়েছিল আসামিপক্ষ। কিন্তু আবেদনে ক্রমিক লিখতে ভুল হওয়ায় তার বিষয়টি হাই কোর্ট মঞ্জুর করেনি বলে জাকির হোসেন ভূঁইয়া জানান।
এর আগে তিনি বলেছিলেন, “এ মামলার সাক্ষী মোট ৩৬ জন। তার মধ্যে ৩২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এই ৩২ জনের মধ্যে ছয় সাক্ষীর জেরা সে সময় ডিক্লাইন (জেরা করতে অস্বীকার করা) করেছিলাম। পরে অন্যান্য সাক্ষীর জেরার পর্যায়ে আমাদের মনে হয়েছিল, ওই পাঁচজনকেও জেরা করা প্রয়োজন।”
ওই পাঁচ সাক্ষী ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে নতুন করে জেরা করার জন্য গত ৮ জুন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামানের কাছে আবেদন করেছিল আসামিপক্ষ।
বিচারক পাঁচ সাক্ষীকে পুনরায় জেরার আবেদন নাকচ করে কেবল তদন্ত কর্মকর্তা হারুন-অর রশীদকে আবার জেরার অনুমতি দেন। এরপর খালেদার আইনজীবীরা হাই কোর্টে আসেন।
জিয়া দাতব্য ট্রাস্টের নামে আসা ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট তেজগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করে দুদক।
তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চার জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
খালেদা জিয়ার একান্ত রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএয়ের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানও এ মামলায় আসামি।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ||
৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ |
১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ |
২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ |
২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |