টঙ্গীর ক্রাইম জোন হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত একটি নাম গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪৯নং ওয়ার্ড এরশাদ নগর বস্তি। টঙ্গী এরশাদ নগর বস্তি এখন মাদকের সয়লাভ হয়ে গেছে। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী কতিপয় অসৎ ব্যক্তি সরাসরি মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্ডার দিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা। মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় ও পশ্রয়ে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে আইন শৃঙ্খখলা বাহিনীর সোর্সেরা।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, টঙ্গী এরশাদ নগর বিশাল বস্তিতে হাত বাড়ালেই সহজে পাওয়া যায় মাদক। অলিতে গলিতে সর্বত্রই পাওয়া যাচ্ছে মরণ নেশা ইয়াবা, ফেনসিডিল, মদ, গাঁজা, হেরোইন, পেথেডিনসহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য। এসব মাদক নিয়ন্ত্রন দাতা হিসেবে সকলের পরিচিত মুখ ১নং ব্লকের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী পারুল আক্তার ও তার স্বামী মানিক। পারুল আক্তার ঢাকা বাহিরের জেলা থেকে মাদকের বড় চালান এনে এরশাদ নগর এলাকার তার নিজস্ব লোকজনের মাধ্যমে পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করান।
পারুলের নেতৃত্বে মাদকের সেল ম্যান হিবেসে কাজ করেন, সোর্স খলিলের স্ত্রী লিপি, ইবরা মিয়ার মেয়ে রিতা, রাজা ও তার স্ত্রী আলো, ফারুক ও তার স্ত্রী নিপা, পিংকি, পারুলীর মামাতো ভাই শাহ্ আলম, সালমা আক্তার (মন্টু), আকাশ, হাসি, সোহান, মুন্না, মুন্নি, খলিল,পারভেজ, আবুল, মোশারফ, মিরাজ, দাইত্তা জলিল, খালেদা ভা-ারী, মতি ও বিপ্লব, ইবু মিয়াঁ, জামাই লিটন, পুরি মাসুদের ভাগিনা সাজন। জমির, রুবেল (পাতা রুবেল), ফিরোজ, হনুফা, কালুর বউ স্মৃতি আক্তার, ইউনুছ, হারুন, সুমন, আমজাদ, লালু (৩৫), কালু (৪০), জাবেদ, জসিম, আকাশ (২৫), ভা-ারী হোসেন, শান্তা মিয়া ও নাজু বেগম, ইয়াবা ও বিয়ার বিক্রয় করছে তারা গাজী, বিল্লাল, লোকমান, সুমন, আলমগীর, মৃত আওলাদের স্ত্রী সাথী, লাইলী, শামসুন্নাহার, হযরত, মইজুদ্দিন, লিটু ও তার ছেলে সোহেল, জুয়েল, শরীফের মেয়ের জামাই হুমায়ুন, সালাম, জামাল ও বাবুর স্ত্রী সারমিন। এদের অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় নানা অভিযোগ ও একাধিক মামলা রয়েছে।
আরো জানা যায়, পারুলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধীক মামলা রয়েছে। মাদকের টাকায় পারুলী গড়ে তুলেছে বিশাল সম্রাজ্য। এরশাদ নগরে রয়েছে পারুলীর ৩টি বাড়ী। বেড়িবাঁধের পাশে অবৈধভাবে গড়ে তুলেছে পল্ট্রি ফার্ম, খাপাড়া এলাকায় রয়েছে আনুমানিক দেড় কোটি টাকা মুল্যের একটি বাড়ি, হোসেন মার্কেট ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি বিল্ডিং এ ছিল ২টি ফ্লাট যার একটি বিক্রি করে দিয়েছে। গাছা এলাকায় রয়েছে দুটি প্লট। এছাড়া নামে বেনামে পারুলের রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। এলাকাবাসী পারুলীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে হতে হয় নির্যাতনের শিকার। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় পারুলীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেছে। সংবাকর্মীদের প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছে পারুলী আক্তার ও তার স্বামী মানিক। কিন্তু প্রশাসন রয়েছে নিরোব ভূমিকায়। গেলে কিছুদিন আগে পারুলী সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে, আগে মাদক ব্যবসা করতো। এখন তিনি আর মাদক ব্যবসা করেনা। সাবেক পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেনের কাছে অত্মসম্মাপন করেছেন। তিনি মাদক ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছে।