অগ্রবাণী ডেস্ক | ১৬ জুন ২০১৭ | ৯:৫৫ পূর্বাহ্ণ
টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর ভাঙনে ঘরবাড়ি ও জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে সাড়ে তিনশ পরিবার। ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে নদী পাড়ের সহ্রসাধিক পরিবারের।
এর মধ্যে গাবসারা ইউনিয়নে ২০০ ও অর্জুনা ইউনিয়নে ১০০টি পরিবার রয়েছে। নিজেদের ভিটেমাটি ও ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে পরিবারগুলো। ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে অনেকের। ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ এলাকাবাসীর।
ভাঙন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভূঞাপুরের গাবসারা ইউনিয়নের ডিগ্রিরচর, রাজাপুর, সরইপাড়া, ফলদা পাড়া, ভূঞাপাড়া ও অর্জুনা ইউনিয়নের অর্জুনা গ্রামে যমুনার ব্যাপক ভাঙন চলছে। । গত তিন দিনের ভাঙনে এসব এলাকার তিন শতাধিক পরিবার গৃহহীন ও কয়েকশ একর ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
দুই দিন ধরে যমুনা অনেক বেশি আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর প্রায় ৩০০-৪০০ বাড়ি-ঘর এই যমুনায় নদীর ছোঁবলে বিলীন হয়ে যায় এবার তা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতিবছরই বন্যা আসার আগে অর্জুনা গ্রামে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দায়সারা সংস্কার কাজ করে থাকে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড। বাঁধ সংস্কারের জন্য যত টাকা বরাদ্দ হয়, এর অর্ধেক টাকাও বাঁধ সংস্কার কাজে ব্যবহার করা হয় না। সম্প্রতি নদীর পাড় দিয়ে মাটি মিশ্রিত বালু ফেলে বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত এ অংশটুকু নামমাত্র মোরামত করেছে। কয়েকদিনে অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়ায় ভাঙন আরও বেড়েছে।
স্থানীয়দের আশঙ্কা, ভাঙন রোধে এখনই কার্যকর কোন উদ্যোগ না নিলে বর্ষায় তীব্র আকার ধারণ করবে। ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড গত বছর ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে জিও ব্যাগ ফেলেছে। অনিময় ও দুর্নীতির কারণে তা কোন কাজে আসেনি বলে অভিযোগ করছেন তারা।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৗশলী (সেন্ট্রাল জোন) মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, তীব্র ভাঙনে জিও ব্যাগ কার্যকর নয়। তিনি বলেন, ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।