অনলাইন ডেস্ক | ২৬ আগস্ট ২০১৭ | ১১:৩২ অপরাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস উপকূলে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় হারভে। এ সময় প্রাথমিকভাবে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩০ মাইল। গত ১৩ বছরের মধ্যে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে হারভে সবচেয়ে ভয়াবহ। বর্তমানে এটি খুব ধীর গতিতে সরছে। উপদ্রুত এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গেছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভয়ংকর বন্যা দেখা দিতে পারে। তবে বিপৎ-সংকেত চার থেকে একে নামিয়ে আনা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপদ্রুত এলাকার কিছু বাসিন্দা ভবনে আটকে পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওই এলাকার বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে। সেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলো বলেছে, তাদের প্রায় দুই লাখের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে টেক্সাসের দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের সাহায্য দ্রুত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জরুরি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘আপনারা অসাধারণ কাজ করছেন, সারা বিশ্ব এটি দেখছে। সাবধানে থাকবেন।’ ট্রাম্প আগামী সপ্তাহেই টেক্সাসের দুর্গত এলাকায় যাবেন বলে আগাম জানিয়ে দিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানা টেক্সাসের বেশ কয়েকটি এলাকায় রেকর্ড মাত্রায় বন্যা দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট। হারভের কারণে ভূমিধসের ঘটনাও বেড়েছে। টেক্সাসের রকপোর্ট এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত সবচেয়ে বেশি হয়েছে। সেখানে ১০ হাজার মানুষের বাস। জরুরি পরিষেবা-সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষ বলেছে, সেখানকার বেশ কিছু ভবনের অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে, উপদ্রুত এলাকায় অনেক গাছ উপড়ে গেছে এবং বিভিন্ন ঘরবাড়ি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ নগরের বাসিন্দাদের বাহুতে সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বর লিখে রাখতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে মৃত্যু হলে মৃতদেহ শনাক্ত করার জন্য এ ব্যবস্থা কাজ করবে।
কেন্দ্র থেকে সহায়তা চেয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পাঠানো চিঠিতে গভর্নর অ্যাবোট বলেছেন, এই ঘূর্ণিঝড় সহজেই কয়েক শ কোটি ডলারের সম্পদের ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটাতে পারে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পোন্নত রাজ্য টেক্সাসের তেল শোধনাগার শিল্পাঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হলে উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে জ্বালানির দাম বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ধারাবাহিকভাবে ঘূর্ণিঝড়ের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে সংবাদ প্রচার করছে। এই ঝড়ের তাণ্ডবে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।