ঢাবি প্রতিনিধি | ০৯ জুলাই ২০১৮ | ২:১৬ অপরাহ্ণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস শুধু এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। এখানে বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ/প্রক্টরের পূর্বানুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে অবস্থান ও ঘোরাফেরা এবং কোনো ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। এ বিষয়ে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিতে পারবেন। সোমবার বিশ^বিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রভোস্ট কমিটির এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলসমূহে সাম্প্রতিককালে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রেক্ষাপট বিবেচনা ও সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির এক সভা গত বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণসহ আরো বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিদ্ধান্তগুলো হলো:
বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও হোস্টেলসমূহের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে, ছাত্রত্ব নেই এমন অছাত্রকে কর্তৃপক্ষ হলে অবস্থান করতে দেবেন না এবং অনতিবিলম্বে অছাত্রদের (যদি থাকে) হল ছাড়ার নির্দেশ সম্বলিত নোটিস প্রদান করবেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনে হল কর্তৃপক্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেবেন। হল প্রশাসনের পূর্বানুমতি ব্যতীত কোনো অভিভাবক ও অতিথিও হলে অবস্থান করতে পারবেন না।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ও আবাসিক হল ও হাস্টেলসমূহে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন, চরমপন্থী ও উগ্র ভাবাদর্শ প্রচারে ও কর্মকান্ড কেউ সংশ্লিষ্ট আছে কী না তদবিষয়ে সতর্ক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও হল প্রশাসনকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হলো। কোনো অবস্থাতেই যাতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ও চরমপন্থীরা হলে প্রবেশ অথবা অবস্থান করতে না পারে সে ব্যাপারে হল প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্ক ও তৎপর থাকতে হবে। এতদবিষয়ে ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সকল হলে অবস্থানরত ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন ও শিক্ষার্থীদের সাথে হল প্রশাসন নিয়মিত মত বিনিময় সভা করবেন ।
শিক্ষা ও শিক্ষা-সহায়ক কর্মকান্ড ব্যতীত আবাসিক হল/হোস্টেলে বসবাসরত শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ও স্বাভাবিক জীবনে বিঘ্ন ঘটায় এমন কর্মসূচি (উস্কানিমূলক বক্তব্য, গুজব ছড়ানো প্রভৃতি) গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার জন্য শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেয়া হোক। সম্প্রতি ছাত্রী হলে যারা গভীর রাতে স্লোগান দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে বিঘ্ন ঘটিয়েছে তাদেরকে আবাসিক জীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে যত্নশীল থাকার জন্য পরামর্শ দিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রাধ্যক্ষগণ চিঠি দিবেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত ঘটনার তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রদানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদকে আহবায়ক করে ৭ (সাত) সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।