| ০৫ মার্চ ২০২১ | ৯:৩২ পূর্বাহ্ণ
বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই দফা সংঘর্ষ হয় ওই উপজেলার ৬ নম্বর সারুটিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুনের সঙ্গে জুলফিকার কায়সার টিপু নামে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে। এ সময় অন্তত ২৫টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিজানুর রহমান জন্ম থেকেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, দুই চোখে একদমই দেখতে পান না। তিন বছর আগে বাবা-মা তাকে বাড়ির সঙ্গেই ছোট্ট একটি মুদি দোকান তৈরি করে দিয়েছেন। এরপর বিয়েও করিয়েছেন। সেই থেকে এই দোকানের আয়েই চলছিল ২৫ বছর বয়সী এ যুবকের সংসার।
স্থানীয়রা জানায়, মিজানুর চোখে দেখতে পায় না। ক্রেতারা নিজেরাই দোকান থেকে মালামাল নিয়ে টাকা-পয়সা দিয়ে যায়। কেউ বাকি নিলে তারাই খাতায় লিখে দিয়ে যায়। ছোট্ট দোকানটার কারণেই মিজানুরের দিনগুলো যাচ্ছিল কোনোমতে। তবে শেষ রক্ষা হলো না। হামলাকারীরা তার দোকান তছনছ করে দিয়েছে। ফ্রিজ ভাঙচুর, মালামাল ছাড়া প্রায় ২০ হাজার টাকা লুটপাট করে নিয়ে গেছে।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মিজানুর রহমান বলেন, দোকানটাই ছিল আমার আয়ের একমাত্র উপায়। এই দোকানের আয়েই আমার পরিবারের খাবার জুটতো। লোন তুলে দোকানের মালামাল কিনেছিলাম। সেই লোনও শোধ হয়নি। এখন আমি কী করব? থালা নিয়ে পথে বসা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
তিনি আরো বলেন, দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করায় আমার ৮০-৮৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। হামলার সময় আমার মা আমাকে বাড়ির পেছনে নিয়ে লুকিয়ে রাখে। নইলে হয়তো আমাকেও মারধর করতো হামলাকারীরা।