ডেস্ক | ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ | ২:৩৯ অপরাহ্ণ
১৬টি মামলা চলছে তার বিরুদ্ধে। এই দাগী আসামীর বিরুদ্ধে খুনের মামলাও রয়েছে।
এক বছর ধরে সেই অপরাধীকে বাগে আনার চেষ্টা করছে পুলিশ। কিন্তু সাফল্য আসছে না। এরই মধ্যে পুলিশ জানতে পারল যে, সেই লোক বিয়ে করার জন্য পাত্রী খুঁজছে। সুযোগ কাজে লাগালেন পুলিশ কর্মকর্তারা। এ যেন একেবারে সিনেমার প্লট। আসামীকে ধরতে সাজিয়ে গুছিয়ে জাল পেতে রাখল পুলিশ। আর সেই দাগী অপরাধী এসে ধরাও দিল জালে। সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশে।
জানা গেছে, ওই আসামীর নাম বালকিষাণ চৌবে।
গত এক বছর ধরে তাকে খুঁজছিল পুলিশ। তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল দশ হাজার টাকা। চলতি বছরের আগস্ট মাস নাগাদ মধ্যপ্রদেশের নওগাঁওতে এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগ রয়েছে বালকিষাণ চৌবের বিরুদ্ধে। এছাড়াও রয়েছে একাধিক অভিযোগ। বারবার চেষ্টা করেও পুলিশ তাঁকে নাগালে পাচ্ছিল না। এরপরই বালকিষাণকে ধরতে ফাঁদ পাতে পুলিশ। একজন নারী পুলিশ বালকিষাণের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আলাপ জমিয়ে বিয়ের প্রস্তাবও দেন। ফাঁদে পা দেন বালকিষাণ। এরপর বিয়ের দিন আসেন বর সেজে। আর তখনই তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বালকিষাণ চৌবে উত্তরপ্রদেশের বিজোরি গ্রামের বাসিন্দা। বুন্দেলখণ্ডের এক নারী কর্মীর নামে একটি সিম কার্ড সংগ্রহ করে বালকিষাণের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছিলেন সেই নারী পুলিশকর্মী। এক সপ্তাহের মধ্যেই সেই পুলিশকর্মী বালকিষাণকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। বিজোরি গ্রামের একটি মন্দিরে বিয়ের জন্য উপস্থিত হন বালকিষাণ। পুলিশকর্মীরা আগে থেকেই সেখানে ফাঁদ পেতে রেখেছিলেন।