এম, এ, রউফ খান রিপন, খুলনা থেকে: | ২৬ আগস্ট ২০১৭ | ৯:৪৯ অপরাহ্ণ
আড়ংঘাটা দক্ষিণপাড়া এলাকায় মহিলা আ’লীগ কর্মী পারভীন আক্তার তুলি বেগম পিটিয়ে আহত করেছে সংখ্যালঘু পরিবারের আনন্দ সরকারের স্ত্রী পূর্ণিমা রানী সরকার (৪০) এবং তার মা রেখা সাহা (৭০) কে। এই ঘটনায় পূর্ণিমা রানী বাদী হয়ে আড়ংঘাটা থানায় আ’লীগ কর্মী পারভীন আক্তার তুলি বেগম এবং তার স্বামী মোনজেল শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায় গত ইউপি নির্বাচনে দুই ইউপি সদস্যের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধের জের ধরে তুলি বেগম একের পর এক এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে।
সূত্র মতে জানা যায় গত ইউপি নির্বাচনের সময় ৩ নং ওয়ার্ডে তিন জন সদস্য পদে প্রতিদন্ধীতা করে। এদের মধ্যে বাদী পূর্ণিমা রানী ও বিবাদী তুলি বেগম এক সদস্যের সমর্থক হয়ে এলাকায় সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে। বিএনপি সমর্থিত সদস্য অমল শীলের সাথে বাদী এবং বিবাদীর ঐ সময় বিরোধ সৃষ্টি হয়। অমল শীলের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায় বাদী বিবাদী এক হয়ে নির্বাচনের পরের দিন অমল শীলের স্ত্রীকে বেদম প্রহার করে।
অপর দিকে পারভীন আক্তার তুলি বেগম আ’লীগের কর্মীর প্রভাব এবং তার স্বামী ঐ ওয়ার্ডের সাধারন সম্পাদকের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে কাজ দেওয়া এবং কার্ড দেওয়ার কথা বলে অর্থ বাণিজ্য শুরু করে। ইতঃপূর্বে কালিপদ নামক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তুলি বেগম কুপ্রস্তাবের অভিযোগ আনে। বিষয়টি স্থানীয় পূজা মন্দিরের সাধারন সম্পাদক অসিত মন্ডলের মধ্যস্থতায় সাত হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে ঘটনা মিমাংসিত হয়। অসিত মন্ডলের দেওয়া সূত্র মতে কালিপদ তাকে বিশ হাজার টাকা ধার দিয়েছিল কিন্তু কোন্ স্বার্থে টাকা ধার দেওয়া হয় সে বিষয়টি আজও পরিষ্কার হয়নি। এ সমস্ত ঘটনা ছাড়াও ইতোমধ্যে সরকারি অনুদানের গম ইউনিয়ন পরিষদের কর্তৃক ১৬-১৭ জনের একটি তালিকা মোতাবেক দেওয়ার জন্য মনজেলের উপর দায়িত্ত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু এই কার্ড যথাযথভাবে বিলি বণ্টন না হওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান তাকে শেষ বারের মতো হুশিয়ারি উচ্চারণ করে তার মাধ্যমে পরবর্তী পর্যায়ে সকল কার্যক্রমের দায়িত্ব না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং ইউপি সদস্য দেবদাস মন্ডল দেবুও বাদী বিবাদী উভয়ের অপকর্মের ব্যাপারে নাখোশ হন। তবে তাদের এসব অপকর্ম সর্ম্পকে ইউপির আ’লীগের উর্দ্ধতন নেতাদের অবহিত করলেও তারা নিরব থাকে। ঘটনার বিষয় নিয়ে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল বলে পুলিশ জানায়। তবে ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিষয়টির নিন্দা জানিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার মতামত ব্যক্ত করেছেন।