
ডেস্ক রিপোর্ট | রবিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২২ | প্রিন্ট
জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জন করে তা দখলে রাখার অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা তাহমিদ ইসলাম মিলনের স্ত্রী মোসা. নেকলেস ইসলাম পলিকে পৃথক দুই ধারায় চার বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় নেকলেস ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
রায়ের আদেশে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় নেকলেস ইসলামকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। আর দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় তাকে আরো তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ২ লাখ ২৫ হাজার ৪৬০ টাকা অর্থদণ্ড করেন। এছাড়া অসাধু উপায়ে অর্জিত ২৮ লাখ ২৫ হাজার ৪৬০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন আদালত।
এদিকে নেকলেস ইসলামকে দেওয়া দুই ধারার একত্রে চলবে বলে আদালত আদেশে উল্লেখ করেন। সেক্ষেত্রে তাকে তিন বছর বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, নেকলেস ইসলাম একজন গৃহিনী। তার দৃশ্যমান কোনো আয়ের উৎস নেই। তার স্বামী তাহমিদুল ইসলাম ১৯৯১ সাল থেকে কনিষ্ঠ হিসাব সহকারী ও ২০০২ সাল মামলা দায়ের হওয়া পর্যন্ত রাজউকের হিসাবরক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্বামীর দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ দিয়ে নেকলেস ইসলাম জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন মর্মে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ২০১৫ সালের ৭ অক্টোবর সম্পদ বিবরণী দাখিলে নোটিশ দেয় দুদক। নেকলেস ইসলাম ২৮ অক্টোবর দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১৪ লাখ ১২ হাজার ২৪০ টাকার সম্পদ প্রদর্শন না করে গোপন করে, মিথ্যা সম্পদ বিবরণী দাখিল এবং নিজ নামে অর্জিত ৯৬ লাখ ৯৫ হাজার ২৪০ টাকার সম্পদের মধ্যে ৩৫ লাখ সাত হাজার ২৪০ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখেন। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ৪ জুলাই একই ব্যক্তি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
Posted ৪:৪৩ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২২
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar