অনলাইন ডেস্ক | ১৮ অক্টোবর ২০১৭ | ৯:১৮ পূর্বাহ্ণ
দীপাবলির বাজি ফাটানোর আগেই দূষণের লাল বলয়ে পৌঁছে গেল রাজধানী দিল্লি ও সংলগ্ন অঞ্চল৷ সাধারণত উৎসবের বাজি ফাটানোর পর অন্তত এক সপ্তাহ বা তার বেশি ভয়াবহ দূষণের কবলে পড়ে উত্তর ভারতের বড় অংশ৷ এবারের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ৷
দূষণ রুখতে দীপাবলিতে বাজি ফাটানোর বিষয়ে রাশ টানা ও ডিজেল চালিত জেনারেটর নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এনভায়রনমেন্ট পলিউশন কন্ট্রোল অথরিটি (ইপিসিএ) মাঠে নেমে পড়লেও বায়ুদূষণ দৈত্যের দৌরাত্মে দিল্লিবাসী হাঁসফাঁস করছেন।
শুধু রাজধানী নয়, সংলগ্ন এনসিআর (জাতীয় রাজধানী অঞ্চল), উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানাতে দীপাবলির সময় বায়ুদূষণ লাগামছাড়া বৃদ্ধি পায়৷ সেই কথা মাথায় রেখে এই সব রাজ্যেই জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা৷ দিল্লির রাস্তায় ১০ বছরের পুরনো ট্রাক রাস্তায় নামলেই দিতে হবে জরিমানা৷
নির্দেশ জারি হলেও দূষণের ভয়াবহতা দেখে আশঙ্কিত আবহাওয়াবিদরা। মৌসুম ভবন জানিয়েছে, আগামী ২০ অক্টোবর রাজধানীর বাতাসে আর্দ্রতা বাড়বে৷ যার ফলে দূষণের চাদর আরও মোটা হবে৷ এতে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের সমূহ ক্ষতি। শিশু সহ যে কেউই অসুস্থ হতে পারেন বলে সতর্কতায় বলা হয়েছে।
দীপাবলি আলোর উৎসব৷ এই উৎসবে বাজি পুড়িয়ে আনন্দ উপভোগ করেন সবাই৷ পুড়তে থাকা বাজির ধোঁয়ায় বাতাসে কার্বনের পরিমাণ অত্যধিক বেড়ে যায়৷ বারুদের পোড়া গন্ধে উত্তর ভারতের বিভিন্ন শহর ও দিল্লিতে তৈরি হয় ভয়াবহ দূষণ চাদর৷ ঘন কুয়াসার মতো দেখতে এই দূষণ চাদর ইতিমধ্যেই দিল্লিকে কুরেকুরে খেতে শুরু করেছে৷ ফলে উৎসবের সময় পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা ভেবে আশঙ্কিত আবহাওয়াবিদরা।