অনলাইন ডেস্ক: | ১৩ জুলাই ২০১৭ | ৮:৪৪ অপরাহ্ণ
জাতীয় গৃহায়ন কতৃপক্ষ ঢাকার মিরপুরস্থ ১১ নং সেকশনে বস্তিবাসী ও স্বল্প আয়ের মানুষের আবাসন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ প্রকল্পের আওতায় ৫৮৫টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। দৈনিক ২২৫ টাকা ১১ পয়সা কিস্তি দিয়ে ফ্ল্যাটের মালিক হতে পারবেন দরিদ্র মানুষেরা। এসব ফ্ল্যাটের আয়তন ৬৫৭ বর্গফুট। যার বিক্রয় মূল্য ২০ লাখ ২৬ হাজার টাকা। ২৫ বছর মেয়াদে মাসিক বা দৈনিক কিস্তিতে এর মূল্য মেটানো যাবে বলে জানান গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
বৃহষ্পতিবার জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-১১ আসনের এমপি এ আবদুল লতিফের একক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি তথ্য জানান।
সামশুল হক চৌধুরীর (চট্টগ্রাম-১২) অপর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমানে সরকারী আবাসন পরিদপ্তর ও পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যবস্থাপণা বোর্ডেও অধীনে মোট ২৭৮ টি বাড়ি বেদখল রয়েছে। সরকারী আবাসন পরিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন ঢাকা ও চট্টগ্রাম কার্যালয়ের অধিক্ষেত্রে মোট ১২৪ টি পরিত্যক্ত বাড়ি বেদখলে রয়েছে। অপর পক্ষে পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যবস্থাপণা বোর্ড, ঢাকা ও চট্টগ্রাম কার্যালেয়ের আওতায় মোট ১৫৪ টি বাড়ি বেদখলে রয়েছে।
মন্ত্রী জানান, এসব ২৭৮ টি পরিত্যক্ত বাড়ির বসবাসকারীগণ বিভিন্ন আদালতে মামলা মোকদ্দমা দায়ের করে অবৈধভাবে দখলে রেখেছে। বিভিন্ন সময় উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেও তাদের উচ্ছেদ কার্যক্রম সফল হয়নি বলে জানান মন্ত্রী।
সরকারদলীয় এমপি এমপি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিমের (মাদারীপুর-৩) এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিগত ২৯ মে ২০১৫ সালে দেশে একাধিকবার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার প্রেক্ষিতে ভূমিকম্পের সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে ও নিরাপত্তার জন্য বিল্ডিং কোড মেনে ইমারত নির্মানের জন্য রাজউক কতৃক প্রিন্ট মিডিয়ায় জনসচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়। এছাড়া চট্টগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে একটি প্রাথমিক তালিকা করা হয়েছে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে আইনী কার্যক্রম গ্রহণ করে তা অপসারনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ঢাকা -১ আসনের এমপি সালমা ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ হোসেন বলেন, কৃষিজমিতে যাতে আবাসন গড়ে না ওঠে এবং কৃষি জমি রক্ষা কল্পে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ২৩ টি আবাসিক প্লট উন্নয়ন প্রকল্পসহ মোট ৪১ টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এছাড়া ২৭ টি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান তিনি।