স্টাফ রিপোর্টার: | ০৫ জুন ২০১৭ | ১২:৪৩ পূর্বাহ্ণ
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান খাজা নেওয়াজ
এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান খাজা নেওয়াজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গোপালগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ দলিল উদ্দিন এক সপ্তাহ আগে এ আদেশ দিলেও প্রকাশ হয়নি।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, কাশিয়ানী উপজেলার সাফলীডাঙ্গা গ্রামের একটি ভাড়া ঘরে ফরহাদের কাছে খাজা নেওয়াজ প্রায়ই যাতায়াত করতেন। সেখানে মদ্যপানসহ তাসের আড্ডা হতো।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত বছর ২৮ জুলাই খাজা নেওয়াজ ওই বাড়ির মালিকের নয় বছরের মেয়েকে ওই ঘরে নিয়ে দরজা-জানালা বন্ধ করে তার হাত-পা বেঁধে জোরপূর্বক মদ পান করান। পরে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
পরে মেয়েটির মা খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে যান এবং মেয়েকে উদ্ধার করেন। ওই সময় খাজা নেওয়াজ ‘বিবস্ত্র’ অবস্থায় সেখান থেকে পালিয়ে যান বলে মামলায় বলা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী শওকত সিকদার জানান, এ ব্যাপরে মেয়েটির মা কাশিয়ানী থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। তখন তিনি গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রইব্যুনালে নালিশী মামলা দায়ের করেন। পরে ট্রইব্যুনালের নির্দেশে কাশিয়ানী থানা মামলাটি নথিভুক্ত করে।
শওকত আরও জানান, চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি কাশিয়ানী থানার এস আই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম মামলাটির ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করেন। এর বিরুদ্ধে বাদী মিনারা বেগম আদালতে নারাজি দেন।
আদালত ওই রিপোর্ট স্থগিত করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জের মুখ্য বিচারিক হাকিমকে নির্দেশ দেয় বলে জানান আইনজীবী শওকত।
তিনি বলেন, মুখ্য বিচারিক হাকিম ম্যাজিস্ট্রেট মুক্তা রানীকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দায়িত্ব দেন।
“মুক্তা রানী গত ২২ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন, যেখানে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খাজা নেওয়াজের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কথা উল্লেখ করেন।
“গত ২৮ মে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রইব্যুনালের বিচারক কাশিয়ানী উপজেলার ভাইস-চেয়ারম্যান খাজা নেওয়াজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।”