অনলাইন ডেস্ক | ২৬ মে ২০১৭ | ৯:২০ অপরাহ্ণ
ময়মনসিংহে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, পরে মামলার হওয়ায় জেলা ছাত্রলীগ থেকে আজীবন বহিষ্কার হন ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি কবির।
জেলার ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের ছাত্রলীগ সভাপতি আলমগীর কবিরের সঙ্গে সেই ধর্ষিতার অন্তরঙ্গ ছবি ফেসবুকে ফাঁস হয়েছে। বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা আলমগীর কবির তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ধর্ষণ নয় ওই মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল দাবি করে ছবিসহ স্ট্যাটাস দেন। যা পরে ভাইরাল হয়ে যায়।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা “আজ আমার বলার মত কিছু নাই, তারপর কিছু না বলায় একটা কষ্ট রয়ে যাবে” এ শিরোনামে একটা পোস্টের সাথে ছবিগুলো প্রকাশ করেন। ছবির ক্যাপশনে একে ধর্ষণ নয় প্রেম বলে উল্লেখ করে ধর্ষিতার সাথে তার প্রেমের সর্ম্পকের মনোমালিন্যের কথা তুলে ধরেন।
আলমগীর লিখেন- “আজ দেড় বছর আমাদের আমাদের রিলেশন, এর মধ্যে রাগ-অভিমান হয়েছে, তার আপুর হাতে কয়েকবার মার খেয়েছে আমার জন্য। তাতেও সে কথা বলা বন্ধ করেনি বরং আমাকে ফোনে না পেলে রাগ করে নিজের হাত কেটে ফেলতো।”
স্ট্যাটাসে আরো লিখেন-“আজ যা হচ্ছে তার নিজের ইচ্ছায় না। কারণ এই দেড় বছরের রিলেশনে সে ৩-৪ বার আমাদের বাসায় আসছে। মাকে মা বলে ডাকতো, বাবাকে বাবা বলে ডাকতো। সবসময় ফোনে তাদের সাথে কথা বলতো। সব থেকে সত্যি কথা হল আমাদের ভালবাসা ছিল ভিতর থেকে পবিত্র, এর মধ্যে কোন নোংরামী নাই।”
এতে একজন পোস্টে আলমগীরের পক্ষে মন্তব্য করে লিখেন, “ছাত্রলীগ আজীবন করা যাবেনা তবুও মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা ছাত্রলীগ অনৈতিকভাবে এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হয়নি। সত্যটা যাচাই করা উচিত ছিল।”
প্রসঙ্গত, ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হওয়ার পর গত বুধবার (২৪ মে) রাতে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয় ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের ছাত্রলীগ সভাপতি আলমগীর কবিরকে।
এর আগে, ঘটনার পাঁচ মাস পর গত ১৫ মে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভালুকার ওই মেয়ে ময়মনসিংহ নগরীর একটি কলেজের শিক্ষার্থী। কলেজে যাওয়া-আসার পথে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর প্রায়ই ওই মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো। গত ১১ জানুয়ারি নগরীর মুসলিম গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের দক্ষিণ পাশে একটি মাইক্রোবাসে সকাল ৯টার দিকে আলমগীর, তার বন্ধু তুষার এবং মাইক্রোবাসচালক ওই ছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে মাইক্রোবাসেই তাকে ধর্ষণ করে।