
ডেস্ক রিপোর্ট | বৃহস্পতিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট
আইনত দণ্ডনীয় হলেও বরিশালের ইটভাটাগুলোতে ব্যাপকভাবে পোড়ানো হচ্ছে গাছ। এতে হুমকির মুখে পরিবেশ এবং স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে মানুষ। গাছ পোড়ানো বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল। অবশ্য এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সুব্রত কুমার দাস বলেন, ‘গাছ কাটার ফলে অতিদ্রুত পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ফলে পরিবেশের ওপরে আশঙ্কাজনকভাবে একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে।’
তবে ভাটার মালিকরা গাছ পোড়ানোর ব্যাপারে তুলে ধরছেন নিজস্ব যুক্তি। কয়লার দাম বেশি হওয়ায় বাধ্য হয়ে তাদের কাঠ পোড়াতে হচ্ছে বলে জানায় তারা।
দ্রুত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায় পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন।
বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. তোতা মিয়া বলেন, সংশোধিত ২০১৯ আইনের ৬ ধারা মোতাবেক ইটভাটায় গাছ কেটে কাঠ ব্যবহার করা দণ্ডনীয় অপরাধ। যদি কেউ এই আইন লঙ্ঘন করে তাহলে ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড কিংবা ৩ বছরের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে।
এ ব্যাপারে বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দারের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ‘আমরা মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করছি। নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া আছে। তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’
উল্লেখ্য, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও বরগুনা জেলায় মোট ইটভাটার সংখ্যা ৪২০টি। এর মধ্যে স্থায়ী ১২০ ফুটের চিমনির ৩০৯টি আর বাকিগুলোতে সনাতন পদ্ধতির ড্রাম চিমনিতে ইট তৈরি হয় । এগুলোর মধ্যে দুই শতাধিক ভাটায় ইট তৈরিতে গাছ পোড়ানো হয় বলে জানা গেছে।
Posted ১:১৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২১
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar