অনলাইন ডেস্ক | ১৮ মে ২০১৭ | ১:২৫ পূর্বাহ্ণ
সাফাত সব সময় আগেই মেয়ে নিয়ে ঘুরতো। ওর ফ্রেন্ড সার্কেল ছিল বাজে। গত বছরের মার্চে অরিজিৎ সিংয়ের অনুষ্ঠানে নাঈম আশরাফের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায় সাফাতের। নাঈম হয়ে যায় তার বেস্ট ফ্রেন্ড। ওর মতো একটা বাজে ছেলে কিভাবে তার বেস্ট ফ্রেন্ড হয় প্রশ্ন সাফাতের সাবেক দ্বিতীয় স্ত্রী পিয়াসার।
পিয়াসার মতে, নাঈম আশরাফ মূলত একজন সাপ্লায়ার। নারী ও মদ সাপ্লাই দেয় সে। অনেক চেষ্টা করে নাঈমের সঙ্গ ছাড়াতে পারিনি। সাফাতের বাবা দিলদার আহমেদ চাইতেন নাঈমের সঙ্গেই চলাফেরা করুক তার ছেলে। কারণ নাঈমের সঙ্গে দিলদার আহমেদেরও ভালো সম্পর্ক ছিল।
নাঈম কাজ করতো ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম ইমেকার্সে। এতে কাজ করতে গিয়েই মডেল, অভিনেত্রীদের সঙ্গে তার পরিচয়, সম্পর্ক। এই সুবাধেই সাপ্লায়ার হিসেবে ভূমিকা রাখতো নাঈম আশরাফ। বনানীর-১১ এর একটি হোটেল ছিল তাদের আড্ডার মূলকেন্দ্র। সর্বশেষ আস্তানা গড়ে রেইনট্রি হোটেলে।
পিয়াসা বলেন, একজন মডেল আমার কাছে অভিযোগ করেছিলেন যে তাকে আপন জুয়েলার্সের এম্বাসেডর বানানোর প্রস্তাব দিয়ে কথা বলার জন্য একান্তে ডাকা হয়েছিলো। কিন্তু একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে সময় কাটানোর ওই প্রস্তাবে তিনি সম্মত হননি। তবে অনেকেই সাড়া দিতেন। বিনিময়ে কাজের সুযোগ পেতেন। গিফট পেতেন।
পিয়াসার দাবি, তার সঙ্গে ডিভোর্সের পরপরই বেপরোয়া হয়ে উঠেন সাফাত। যার ফলে ঘটে ধর্ষণের ঘটনাটি। পিয়াসা বলেন, ধর্ষণের ঘটনাটি পরিকল্পিত। গত ৭ই মার্চ গুলশানের আমরি রেস্তরাঁয় এক অনুষ্ঠানে সাফাতের সঙ্গে ওই দুই তরুণীকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলো সাদমান সাকিফ। সেখানে পিয়াসাও ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে ওই সময় থেকেই দুই তরুণীকে টার্গেট করা হয়েছিলো। এর পরদিন বিশেষ কোনো কারণ ছাড়াই পিয়াসাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে ভারতে চলে যায় সাফাত আহমেদ। পরবর্তীতে দুই তরুণীর সঙ্গে একাধিকবার সাক্ষাৎ হয়েছে। পরিচয় হয়েছে নাঈম আশরাফের সঙ্গেও। নাঈমের পরামর্শেই দুই তরুণীকে গত ২৮শে মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মনে করেন পিয়াসা।
পিয়াসা জানান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়েই এক তরুণীকে বিয়ে করেছিলো সাফাত। ওই বিয়ে টিকেনি। ওই তরুণী এখন আমেরিকায় রয়েছেন। ভালোবেসেই সাফাতকে বিয়ে করেছিলেন চট্টগ্রামের মেয়ে পিয়াসা। ২০১৫ সালের ১লা জানুয়ারি এক টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু সাফাতের পিতা শুরু থেকেই পিয়াসাকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নেননি। যে কারণে বাবা-ছেলের মধ্যে অনেক দূরত্ব সৃষ্টি হয়। পিয়াসা বলেন, ২০১৫ সালে পিয়াসাকে বিয়ে করার কারণে দিলদার আহমেদ তার ছেলেকে পিস্তল দিয়ে গুলি করেছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছিলো তাদের বাসায়। এমনকি সন্ত্রাসী ভাড়া করে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন দিলদার আহমেদ। তার কারণেই সাফাত আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে। আজ তার কারণেই সাফাত বিপদগামী। সে ধর্ষণ মামলার আসামি হয়েছে। এসবের জন্য সাফাতের পিতা ও তার কয়েক বন্ধুকে দায়ী করেন তার সাবেক স্ত্রী পিয়াসা।
সূত্র : মানবজমিন