অনলাইন ডেস্ক | ৩০ আগস্ট ২০১৭ | ১১:৩১ অপরাহ্ণ
বিশাল তাগড়া গরু। কিন্তু শখ করে গরুটিকে খাটো বাবু বলে ডাকেন আবদুল শেখ। কখনো বলেন ছোট বাবু। নিজের সন্তানের মতো লালন পালন করেছেন। এবার রাজধানীর কমলাপুরে কোরবানির হাটে এনেছেন বিক্রি করতে।
নাম খাটো বাবু হলেও দাম কিন্তু কম নয়। দশ লাখ টাকা চেয়েছেন আবদুল শেখ। বিক্রি না হয়ে থাকলে রাজধানীর কমলাপুরের কোরবানি পশুর হাটে গেলে দেখা যাবে খাটো বাবু ও তার মালিককে।
আবদুল শেখের বাড়ি কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়াতে। তিনি সেখানকার একটি রাইস মিলে কাজ করেন। চাতালের ব্যবসা করে তাঁর প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতি হয়। এই খাটো বাবুই এখন তাঁর একমাত্র সম্বল। এই গরু বিক্রি করে তিনি ঘুরে দাঁড়াতে চান। আরো দুটি গরু ও জমি কিনতে চান আবদুল শেখ।
আবদুল শেখ জানান, দেড় বছর আগে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে খাটো বাবুকে কেনেন তিনি। এরপর পরিবারের সবাই মিলে গরুটি পালন করেন। গরুর জন্য আলাদা পাকা রুম ছিল। একটি সিলিং ফ্যানও ছিল। গরুটি অসুস্থ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাইয়েছেন। মোটাতাজা করার জন্য কোনো ওষুধ বা ইনজেকশন দেননি বলে তিনি দাবি করেন।
খাটো বাবুকে চালের খুদ, ভুষি, খড়, চিটাগুড়, খৈল, ছোলা ও কাঁচা ঘাস খাইয়েছেন আবদুল শেখ। ট্যাপের পানি দিয়ে খাটো বাবুকে ঘরেই গোসল করিয়েছেন। একটি নর্দমার মাধ্যমে গরুটির গোবর একটি গর্তে গিয়ে পড়ত। সেই গোবরগুলো আবার জমিতে সার হিসেবে ব্যবহার করতেন। যত্নে কোন কমতি রাখেননি খাটো বাবুর।
আবদুল শেখের বক্তব্য- খাটো বাবু আমার নিজের সন্তানের চেয়ে কোন অংশে কম না। তাকে বিক্রি করতে কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু উপায় নেই। এমন একটা গরু লালন-পালন করাও অনেক খরচ। তাছাড়া এটা বিক্রি করেই সংসারে আলো ফেরাতে চাই।