অনলাইন ডেস্ক: | ২৩ জুলাই ২০১৭ | ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ
শর্ট স্কার্ট পরে কোর্সে নামা যাবে না। কোনভাবেই উপুর বা কাত হলে নিম্নাঙ্গ দৃশ্যমান হওয়া যাবে না তা সে আন্ডার গার্মেন্ট পরা থাকুক বা না থাকুক। নারী গল্ফারদের জন্য এমন ফতোয়া জারি করেছে লেডিস প্রফেশনল গল্ফ অ্যাসোসিয়েশন (এলপিজিএ)। সংস্থার প্রেসিডেন্ট ভিকি গোতজে অ্যাকারম্যান মেইল মারফত নির্দেশিকা জানিয়ে দিয়েছেন। আর এতেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। নারী গল্ফাররাই শুধু এর প্রতিবাদ করছে না, তাদের সঙ্গে গলা চড়িয়েছেন অনেক পুরুষ গলফারও।
নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, ‘বটম এরিয়া’ দৃশ্যমান হবে না, এমনটাই স্কার্টের ঝুল হওয়া বাঞ্ছনীয়। শুধু তাই নয়, আন্ডার শর্টসে উন্মুক্ত জায়গা ঢাকা থাকলেও চলবে না। গল্ফার দাঁড়ালে বা ঝুঁকলে কোনওভাবেই যেন এই নিয়ম লঙ্ঘন না-হয়। নচেত প্রতিবার তাঁকে ১০০০ ডলার জরিমানা দিতে হবে। নয়া নিয়ম আগামী সোমবার থেকে চালু হওয়ার কথা। এমনটাই প্রেসিডেন্টের মেইলে সাফ লেখা রয়েছে।
এই নির্দেশিকা প্রকাশ্যে আসার পরেই তুমুল সমালোচিত হচ্ছে এলপিজিএ। ব্রিটিশ গ্রুপ উইমেন ইন স্পোর্টস বলছে, মেয়েরা সেটা পরেই খেলতে নামবে যাতে তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে। এরকম ড্রেস কোডের কোনও মানেই হয় না। মহিলা খেলোয়াড়দের ট্যালেন্টেই ফোকাস করা উচিত। তাদের পোশাকে নয়। এলপিজিএ-র মুখপাত্র হিথার ডেলি-ডোনোফ্রিও বলছেন,‘ পেশাদার ভঙ্গিতে খেলার ইতিবাচক দিকটা তুলে ধরতেই খেলোয়াড়দের ড্রেস কোডের প্রয়োজন।’
অ্যাসোসিয়েশ মনে করে, শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গগুলো ভেসে ওঠে এমন পোশাক মাঠে খেলার পরিবেশকে নষ্ট করে।