অনলাইন ডেস্ক | ১৭ মে ২০১৭ | ৫:১৩ অপরাহ্ণ
গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন মোস্তাহিন রাজ্জাক মামুন (২৪) নামে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র। এরপর তাঁকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ বুধবার দুপুরে রেললাইনের পাশের ডোবায় মিলল তাঁর লাশ।
সিলেটের জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। রেললাইনের পাশে লাশ পাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছিল, ট্রেনে কাটা পড়া লাশ। তবে শরীরে ট্রেনে কাটা পড়ার কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মাথা ও পায়ের কাছে ক্ষত পাওয়া গেছে। তাঁকে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মামুন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাবা আবদুর রাজ্জাক ও মা হোসনে আরা বেগম দুজনই চিকিৎসক। নগরের পুরোনো মেডিকেল কলোনির বাসিন্দা এই চিকিৎসক দম্পতির মূল বাড়ি সুনামগঞ্জের জাউয়াবাজার এলাকায়।
হাসপাতালের মর্গে মামুনের মামা কালাম হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন মামুন। এরপর থেকে তাঁকে মুঠোফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ দুপুরের দিকে হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে লাশ শনাক্ত করেছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, সিএনজিচালিত অটোরিকশায় কয়েকজন লোক মাইজগাঁওয়ের বাসিন্দা পরিচয় দিয়ে লাশ জরুরি বিভাগে রেখে যায়। পরে তাদের কাউকে আর পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের উপপরিচালক (প্রশাসন) দেবপদ রায় প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার পরপরই মামুন মারা গেছেন বলে চিকিৎসক নিশ্চিত হয়েছেন। তাঁর ঘাড়ে, মাথায় ও পায়ের দিকে ক্ষত চিহ্ন আছে। ক্ষতগুলো কিসের, সেটি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে বোঝা যাবে।
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানান, এটি হত্যা কি না, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাশের খবর দেওয়া স্থানীয় লোকজনকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের চেষ্টা করছে পুলিশ। পাশাপাশি জিআরপি থানাও এ ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছে।
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জহির উদ্দিন আহমদ জানান, মোস্তাহিন রাজ্জাক মামুন প্রায় দেড় বছর ইইই বিভাগের অনিয়মিত ছাত্র। অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের তালিকায় তাঁর নাম আছে।