
ডেস্ক | শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | প্রিন্ট
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ব্যর্থতার কারণে নিজ কার্যালয়ে লাঞ্ছিত হলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ ভোটের পরপরই তিনি দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দ।
এই সময় প্রথমে তারা যখন নির্বাচনের ভোট গ্রহণের পর নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ আলোচনা করছিলেন, তখন দলের কর্মীরা সেখানে শ্লোগান দেয় এবং মির্জা ফখরুলকে দুয়ো দিতে থাকে। এমনকি তারা এ সময় মির্জা ফখরুলকে দালাল হিসেবে চিহ্নিত করেন। আর মির্জা ফখরুলকে অবিলম্বে মহাসচিবের পদ থেকে সরে যাওয়ার জন্য শ্লোগান দিতে থাকে।
এ সময় খন্দকার মোশাররফ হোসেনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু প্রথম দফা সংবাদ সম্মেলনের পর তিনি কোনো কর্মসূচি ঘোষণা না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন দলের কর্মীরা। এ সময় কর্মীরা রীতিমত তাদের ঘেরাও করেন। কিছু কিছু মধ্যস্তরের নেতার বাধা উপেক্ষা করে কর্মীরা মির্জা ফখরুল ইসলামকে মারতে যান। আর এ সময় তারা কর্মসূচিত দাবি উত্থাপন করেন। লাঞ্ছিত মির্জা ফখরুল হতভম্ব হয়ে পড়েন। এরপরই বিএনপির সিনিয়র নেতাদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। আর আধাঘন্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর কর্মসুচির ব্যাপারে ঘোষণা দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই নির্বাচনের পক্ষে ছিলেন। দলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এই নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। তারা মনে করছেন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া এই ধরনের নির্বাচনে অংশ নেওয়া অর্থহীন। কিন্তু তৃণমূলের মতামতকে উপেক্ষা করে ফখরুল এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে নির্বাচনে ভরাডুবির কারণে দলে তিনি এখন ভিলেন হিসেবে পরিচিত হচ্ছেন। তার উপর ক্ষুব্ধ নেতা কর্মীদের আক্রোশ আজ দলীয় কার্যালয়ে লক্ষ্য করা গেছে।
Posted ৯:৫০ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |