মোহাম্মদ রেজাউল করিম, কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) | ১৬ এপ্রিল ২০১৭ | ১০:৫১ অপরাহ্ণ
অশ্রুসিক্ত চোখ আর হৃদয়চেরা বেদনায় চির বিদায় দিয়ে এলাম ছোট ভাই নয়নকে।
কত ভালো বাসতাম বুঝতে পারিনাই এতদিন। সকাল বেলা বন্ধু আলমগীর ফোন করে নয়নের
মৃত্যুর খবর জানাতেই চোখের পাতা মিশেগেল নিমিষে। বসে পড়লাম ক্ষনিকের জন্য। ছুটে গেলাম
বন্ধু নিয়ামের বাড়িতে। নিয়ামের ঘর দেখার ইচ্ছা এভাবে পুরন হবে ভাবিনাই কখনোই।
একটি ইচ্ছার অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে পুরন চাইনা কখনোই কোনদিন।
নিয়ামের ঘরে ঢুকতেই ঘরের মেঝে পড়ে থাকা নিথর নিরব চির চেনা লম্বা সুঠাম দেহটি চোখে পড়তেই বুঝতে দেরি হলনা মোটেই। এ যে ছোট ভাই নয়নের লাশ। লাশ ঘিরে বসে আছে লোকজন। একটু দুরে অনেকেই পড়ছে কোরআন শরিফ।
আমাকে দেখে কাছে এলো গন্যমান্য ব্যক্তিদের কয়েকজন। আশ্চার্যের বিষয় সকলেরই
কান্নায় ভেজা চোখে গড়িয়ে পড়া অশ্রু। সকলেই বলছে কেন আমাদের ছেড়ে চলে গেলা নয়ন। তুমিতো
আমাদের সবারই প্রিয় ছিলে ভাই। তুমিতো আমাদের সবারই অনুগত ছিলে। তুমিতো ছিলে
সব সামাজিক কর্মকান্ডের অগ্র সেনা, ছিলে গরিব দুখি ও সাধারণের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
হৃদয়ের মধ্যে কম্পন অনুভব করলাম। বুঝতে শুরু করলাম নয়নকে কতটুকু ভালোবাসি।
বিকালে তার জানাযায় অংশগ্রহন অতপর গহীন অরন্যে প্রথিত করন!
পাজর ভাঙ্গা ব্যথার পাহাড় কতদিন বইতে পারব জানিনা। তবে এতটুকু বুঝতে পারি নয়নের
চলে যাওয়া বলে যাওয়া বিদায় ভাইয়া বিদায়। এ শব্দগুলো তাড়াকরে ফিরবে আমাকেও
বলতে শিখাবে বিদায় পৃথিবী বিদায় বিদায় বিদায়……..