
ডেস্ক রিপোর্ট | বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২ | প্রিন্ট
খুলনার পাইকগাছায় পানির অভাবে মারা যাচ্ছে বিভিন্ন জলাশয়ের মাছ। বোরো ফসল কর্তন শেষ হলেও এখনো মৎস্যঘেরে পানি উত্তোলন করতে পারেনি মৎস্যচাষী। ফলে প্রচন্ড গরমে পানির অভাবে এসব জলাশয়ের মাছ মারা গিয়ে মৎস্য তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। ইতোমধ্যে উপজেলার প্রায় সবখানেই পানি উত্তোলন স্বাভাবিক রয়েছে বলে উপজেলার পুরাইকাটী গ্রামের ঘের মালিকরা অভিযোগ করেছেন। ঘের ও জমির মালিক আবদুল আজিজ জানান, উপজেলার ঢোড়ামারী, গোপালপুর ও পুরাইকাটী মৌজার প্রায় ৫শ বিঘার মৎস্য ঘেরে আমরা এখনো পানি উত্তোলন করতে পারিনি। অন্যান্য বছর ঢোড়ামারীর গেট দিয়ে আমরা মৌসুমের শুরুতেই পানি উত্তোলন করে মৎস্য চাষ করতাম। এ বছর গেটের একটি অংশ পানি সরবরাহের জন্য স্বাভাবিক রাখা হলেও ঠুটুতলা বাহির খালের মুখে বাঁধ দেওয়ায় এই খালের আওতাধীন ৬০জন মৎস্যচাষী আমরা কেউই পানি উত্তোলন করতে পারছি না। অথচ একই গেট দিয়ে লোনাপানি গবেষণা কেন্দ্রের পাশ দিয়ে যে খাল রয়েছে সে খালের আওতায় মৎস্যচাষীরা স্বাভাবিক ভাবেই পানি উত্তোলন করে মৎস্যচাষ করছে। ইতোমধ্যে আমি ব্যক্তিগত ৬০ বিঘা জমিতে বোরো ধানচাষ করেছিলাম। ধানের ফলনও ভালো হয়নি, আবার এখন পানির অভাবে ঘেরের চিংড়ি ও অন্যান্য সাদা মাছ মারা গিয়ে ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে জমির মালিকরা হারির টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে। এ নিয়ে আমরা সবাই মহাবিপাকে রয়েছি। এসএম সৈয়দ আলী জানান, আমার ২৫ বিঘার মৎস্য ঘের রয়েছে। বোরো ফসল কিছুটা ভাল হলেও এখন পানির অভাবে ঘেরের সব মাছ মারা গিয়েছে। আমরা চাই সকলের জন্য একই আইন এবং একই নিয়ম করা হোক। ইতোমধ্যে উপজেলার প্রায় প্রতিটি এলাকায় পানি উত্তোলন করে সবাই স্বাভাবিক ভাবে মাছ চাষ করছে। এমনকি যে গেটের সঙ্গে আমাদের বিল যুক্ত সেই গেট দিয়ে আমাদের পাশের ঘের মালিকরা পানি উত্তোলন করছে। অথচ আমরা ৬০জন মৎস্যচাষী পানির অভাবে মাছ চাষ করতে পারছি না। পানি উত্তোলন স্বাভাবিক করতে গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান, ইউএনও, উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ ঘের মালিকরা।
Posted ৫:২৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar