অনলাইন ডেস্ক | ১১ জুলাই ২০১৭ | ৮:৫৪ অপরাহ্ণ
স্কুল থেকে এসে রানা হোসেন (৭) মাকে বলেছিল ‘ভাত দাও।’ জবাবে মা বলেন, ‘পানি এনে তোকে ভাত দিচ্ছি।’ এর কিছুক্ষণ পর রানাকে আর খুঁজে পাচ্ছিল না বাড়ির কেউই। পরে দেখা গেলো রানা নিজ ঘরের আড়ায় গামছায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে।
আজ মঙ্গলবার সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কোদণ্ডা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের লোকজন শিশুটির মরদেহ নিয়ে বিলাপ করছে।
রানা হোসেন পার্শ্ববর্তী শব্দালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস ওয়ানে পড়ত। দরিদ্র পরিবারের ছেলেটি সকালে না খেয়ে স্কুলে গিয়েছিল। প্রথম শিফটের ক্লাস শেষ করেই বাড়ি আসে সে। এসেই মায়ের কাছে ভাত চায়। তার মা মরিয়ম বেগম বলেন, ‘আমি পানি এনে তোকে ভাত দিচ্ছি।’
রানার শোকার্ত বাবা দিনমজুর মনসুর সরদার বলেন, পানি এনে ওর মা ভাত খেতে ডাকছিল। কিন্তু কোনো সাড়া আসছিল না। পরে এ ঘর ও ঘর খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল সে ঘরের আড়ায় গামছায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে।
এ ব্যাপারে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদুর রহমান শাহিন বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এতটুকু শিশুর আত্মহত্যা বিশ্বাসযোগ্য নয়। তিনি বলেন বিকেলল সাড়ে ৪টা পর্যন্তও কোনো লিখিত অভিযোগ থানায় আসেনি।
ওসি বলেন, ‘আমি মৌখিক খবর পেয়েছি। নিজেই যাচ্ছি ঘটনাস্থলে। আত্মহত্যা নিশ্চিত হলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই শিশুটিকে দাফন করা হবে। তবে এতটুকু সন্দেহ বা অভিযোগ পেলে ময়নাতদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।