
ডেস্ক | বুধবার, ০৪ মার্চ ২০২০ | প্রিন্ট
যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার ডেরায় যাতায়াতকারী ভিআইপিরা ভিডিও ফাঁসের আশঙ্কায় রয়েছেন। ইতিমধ্যে একাধিক ভিআইপির নাম সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় সারা দেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
সমাজের এসব হাইপ্রোফাইল ভিআইপির আসল চরিত্র ফাঁস হয়ে পড়ায় তাদের অন্ধকার জগৎ নিয়ে আমজনতার কৌতূহলের শেষ নেই। মুখরোচক আলোচনা এখন চায়ের দোকান থেকে শুরু তরে অলিগলি সবখানে।
এ ছাড়া শুধু ওয়েস্টিন নয়, রাজধানীর অভিজাত এলাকায় পাপিয়ার আরও অনেক অভিজাত ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে।
যাদের মধ্যে মহিলা যুবলীগের আরও কয়েকজনের আমলনামা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। শিগগির তাদের বিরুদ্ধেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান শুরু হবে। ইতিমধ্যে সন্দেহভাজনদের নজরদারির মধ্যে আনা হয়েছে।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে সমাজের যেসব ডাকসাইটে দুর্নীতিবাজ আমলা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী পাপিয়াদের ডেরায় প্রটোকল ছাড়া হাজির হতেন, তারা এখন গোপন ভিডিও ফাঁসের আতঙ্কে আছেন।
অনেকের বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের তথ্যও জানে অন্ধকার জগতের এই পাপিয়ারা। দুর্নীতি সংক্রান্ত বড় বড় কাজের লেনদেনের সাক্ষীও এদের কয়েকজন।
তাদের ধারণা, পাপিয়ার সহযোগীরা যে কোনো সময় তাদের গোপন ভিডিও ক্লিপ ছেড়ে দিতে পারে। এমনটা হলে অনেকেরই অবস্থা হবে জামালপুরের আলোচিত ডিসি আহমেদুল কবিরের মতো।
এদিকে পাপিয়াকাণ্ডে আলোচনার তুঙ্গে থাকা গুলশানের পাঁচতারকা হোটেল ওয়েস্টিনের মদ বেচাকেনার যাবতীয় তথ্য তলব করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (নারকোটিক্স)।
সূত্র জানায়, ওয়েস্টিন হোটেলে মোট ৭টি মদের বার লাইসেন্স রয়েছে। এগুলো হল : হোটেলের ২৩ তলায় প্রাগো বার, ৬ তলায় সুইমিং পুল বার এবং তৃতীয় তলায় আছে টেস্ট বার, লিভিং রুম বার, লবি বার, ডেইলি ট্রিটস বার, ব্যাংকোয়েট বার ও গেস্টরুম বার।
এসব বারে মজুদকৃত বিদেশি মদ-বিয়ার আমদানির কাগজপত্র চেয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। একই সঙ্গে হোটেলে মজুদকৃত মদ ও মদজাতীয় পানীয় কাদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে, তারও তালিকা দিতে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের গুলশান সার্কেলের ইন্সপেক্টর শামসুল কবির বলেন, ওয়েস্টিন কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে বলেছে তারা শুধু পারমিটধারী ও বিদেশি নাগরিকদের কাছেই মদ বিক্রি করে। তবে আমরা বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করে দেখব। কারণ, আইন অনুযায়ী অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারও কাছে মদ বিক্রির সুযোগ নেই।
ওয়েস্টিন হোটেলে ডিজে পার্টির এক আয়োজক বলেন, পাপিয়ার উত্থান শুরু হয় ২০১২/১৩ সালের দিকে। তখন তিনি বিভিন্ন পার্টিতে এসে ক্লায়েন্ট (খদ্দের) সংগ্রহ করতেন। তাছাড়া সুন্দরী পার্টিগার্লদেরও নম্বর নিয়ে যেতেন তিনি। একবার র্যাডিশন হোটেলে দলবলসহ পাপিয়ার জোরপূর্বক প্রবেশের ঘটনায় বড় ধরনের হাঙ্গামা হয়।
পাপিয়ার সঙ্গে জনৈক যুবলীগ নেত্রী মনি হইহল্লা করেন। একপর্যায়ে তার লোকজন কয়েক রাউন্ড পিস্তলের ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি করে (জিডি) পার্টির আয়োজকরা। অজ্ঞাত কারণে পরে অবশ্য এ ঘটনা আর বেশিদূর এগোয়নি।
Posted ১২:৪০ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৪ মার্চ ২০২০
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar