আসিফ হাসান কাজল : | ২৪ আগস্ট ২০১৭ | ৭:৩৯ অপরাহ্ণ
মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থান সংকটে পা ফেলারও জায়গা নেই। সম্প্রতি হাসপাতালের বহিঃবিভাগ থেকে শুরু করে ভর্তিকৃত রোগীদের ভোগান্তি ও দূর্ভোগ, হাসপাতালের ভিতরে নোংরা পরিবেশ, বেড সংকট ছাড়াও অব্যাবস্থপনার অন্ত নেই।
হাসপাতালের বহিঃবিভাগ এ মাগুরা সদর উপজেলার শিতারামপুর গ্রাম থেকে বিউটি(২০) তার মা জোবায়দা খাতুন (৫০) কে ডাক্তার দেখানোর জন্য এসেছেন। দীর্ঘ ১ ঘন্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন! তার সামনে এখনো ২০ জন থাকায় কখন তিনি ডাক্তার কক্ষে ঢুকবেন তার কোন ধারনা নেই। এই বিষয়ে বিউটি অভিযোগ করে বলেন, আমার মা এমনিতেই অসুস্থ তার উপর এই ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে কষ্ট করছেন। এত ক্ষনে আমরা ডাক্তার দেখাতে পারতাম কিন্তু তার কক্ষের সামনে অবস্থানকারী ২ জন যখন তখন একে ওকে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। এখানে সিরিয়াল মানার কোন বালাই নেই!
২ ঘন্টা অপেক্ষার পর যখন চিকিৎসকের ঘর থেকে বের হচ্ছি তখন আবার ঔষধ কোম্পানীর লোক দের যন্ত্রনা। তারা এক রকম হাত থেকে প্রেস্ক্রিপশন কেড়েঁ নিয়ে মোবাইলে ছবি তুলবে।
এছাড়াও সরকারি ভাবে অনেক ঔষধ সরবরাহের কথা থাকলেও এক নাপা ছাড়া তেমন কোন ঔষধ হাসপাতালে থাকেই না। এভাবেই অভিযোগ করছিলেন বিউটি আক্তার।
হাসপাতালে ভর্তি রুগীদের ভোগান্তি আরো চরমে।দূর্গন্ধ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ,বেড এর চরম সংকট সর্বপরী পা ফেলানোর জায়গা নেই। সরেজমিন এ দেখা যায় শত শত রুগী হাসপাতালের বারান্দা থেকে শুরু করে সিঁড়ির সামনে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।
এই ব্যাপারে হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বলেন,১০০ শয্যা হাসপাতালে ৫০০ মানুষ ভর্তি থাকলে কি আর অবস্থা হয়।
নিম্ন মানের খাবার থেকে শুরু করে সঠিক সময়ে ডাক্তার রাউন্ড দিতে আসেনা বলে রুগীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।
এছাড়াও মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে একাধিক শুন্য পদে চিকিৎসক না থাকায় সঠিক মানের স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মাগুরাবাসী।
এ ব্যাপারে মাগুরা সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ সাদউল্লাহ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চোক্ষু, এনেস্থিসিয়া সহ অনেক বিভাগেই এখন কোন ডাক্তার নেই।
এছাড়াও ইমারজেন্সি ডাক্তার সংকট রয়েছে।
জুলাই – আগস্ট এ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের নতুন ভবন সংযুক্ত হবার কথা থাকলেও অক্সিজেন প্লান্ট, পাওয়ার প্লান্ট সহ একাধিক কাজ এখনো সম্পূর্ণ না হবার কারনে স্থানের সংকট কাটবে না বলে জানান।
কত জন ডাক্তার থাকার কথা আর কত জন আছেন এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যে এর সঠিক সংখ্যা জানা নাই! হাসপাতাল তত্বাবধায়ক সুশান্ত বাবু এর সাথে যোগাযোগ করলে জানতে পারবেন।
একাধিকবার সুশান্ত বাবুকে মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেন নাই।