আজকের অগ্রবাণী ডেস্ক | ০৬ আগস্ট ২০১৭ | ৮:১০ অপরাহ্ণ
বরিশালে স্ত্রী জেবুন্নেছা জামালের সাথে এক পুলিশ কর্মকর্তার অবৈধ সম্পর্কের জের ধরে স্বামী জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলেন করেছেন। গতকাল বরিশাল প্রেস ক্লাবে ৮ বছরের শিশু সন্তান নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন।
উল্লেখ্য, গত ১লা আগস্ট জেবুন্নেছার সাথে ওই পুলিশ কর্মকর্তার অবৈধ কার্যকলাপের সময় এলাকাবাসী ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে পুলিশে সংবাদ দেন। পরে ওই পুলিশের এসআই মাইনুল ইসলামকে ক্লোজ করা হয়। এরপর থেকেই এসআই মাইনুল জেবুন্নেছার স্বামী ব্যবসায়ী শামীম তালুকদারকে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে আসছে বলে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ৮ বছর বয়সী শিশুকে সাথে নিয়ে গতকাল বেলা সাড়ে ১২টায় শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী স্বামী ব্যবসায়ী মো. শামীম তালুকদার। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বরিশাল বিমানবন্দর থানার এসআই মাইনুল ইসলাম এর সাথে তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক ধরে ফেলায় তাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করা হচ্ছে।
গত ২০০৭ সালে তার সাথে জেবুন্নেছা জামালের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে একটি ৮ বছর বয়সী পূত্র সন্তান রয়েছে। গত ৩/৪ বছর পূর্বে এসআই মাইনুল ইসলামের সাথে তার বন্ধুত্ব সম্পর্ক হয়। এরই সূত্র ধরে মাইনুল তার বাড়িতে আসা যাওয়া করে। সন্তানের লেখাপড়া করানোর সুবাদে বাবুগঞ্জের মাধবপাশা থেকে বরিশাল শহরে আসেন তারা। আর তখন থেকেই তার স্ত্রী জেবুন্নেছা জামালের সাথে মাইনুলের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ নিয়ে গত ৬ মাস পূর্বে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ হয়। ফলে সন্তানকে নিয়ে স্ত্রী জেবুন্নেছা জামান বরিশাল নগরীর গোরস্থান রোডস্থ খাদিজা মঞ্জিলে থাকতেন। গত ৬ মাস ধরে ওই বাসার ভাড়াও পরিশোধ করত এসআই মাইনুল। সর্বশেষ গত ১লা আগস্ট ব্যবসায়ী ওই বাড়িতে প্রবেশ করে তার স্ত্রী ও এসআই মাইনুলকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে বাইরে থেকে দরজায় তালা ঝুলিয়ে এলাকাবাসী ও পুলিশে খবর দেয়।
এরই প্রেক্ষিতে ২রা আগস্ট বিমান বন্দর থানা থেকে এসআই মাইনুলকে পুলিশ লাইনস ক্লোজ করে নিয়ে আসা হয়। আর এরপর থেকেই এসআই মাইনুল ইসলাম তাকে অব্যাহত জীবননাশের হুমকি দিয়ে আসছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তাই তিনি সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে এসআই মাইনুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ ব্যাপারে এসআই মাইনুল জানান, শামীমের কাছে তিনি একলাখ টাকা পাবেন। ওইদিন টাকা আনার জন্য শামীম তার বাসায় যেতে বলেছিল। কিন্তু শামীম আমাকে ফাঁসানোর জন্য এমন কাজ করেছে।