অনলাইন ডেস্ক | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ৬:৩০ অপরাহ্ণ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শকের বিরুদ্ধে (এএসআই) প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার বিকেলে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ওই নারী এ অভিযোগ করেন। পুলিশের ওই এএসআইর নাম মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু। তিনি এখন সিলেটে কর্মরত।
ওই গৃহবধূর ভাষ্য, এএসআই মিনহাজ উদ্দিন ঘাটাইলে দায়িত্ব থাকার সময় তাঁকে ধর্ষণ করেন। কিন্তু মিনহাজের বিরুদ্ধে ঘাটাইল থানা মামলা গ্রহণ করেনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওই নারী অভিযোগ করে বলেন, ঘাটাইলে এক সন্তান নিয়ে তিনি বসবাস করেন। এ সুযোগ নিয়ে একই গ্রামের বাসিন্দা এএসআই মিনহাজ তিন বছর ধরে তাঁকে কুপ্রস্তাব ও উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ২৭ জুন রাতে তাঁর ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি কাউকে জানালে তাঁকে হত্যা করাসহ ওই ধর্ষণের ধারণ করা ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন মিনহাজ।
ওই গৃহবধূ জানান, মান-সম্মানের ভয়ে ধর্ষণের বিষয়টি তিনি গোপন রাখেন। তিনি ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে না বলার পরও মিনহাজ আবার উত্ত্যক্ত শুরু করেন। এরই মধ্যে তাঁর স্বামী দেশে ফিরে আসেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মিনহাজ আবার ধর্ষণের চেষ্টা করলে তিনি চিৎকার শুরু করেন। এ সময় প্রতিবেশী ও বাড়ির লোকজন এগিয়ে এলে পুলিশের ওই কর্মকর্তা পালিয়ে যান। পরে ঘটনাটি তিনি পরিবারকে খুলে বলেন। পরে গত বৃহস্পতিবার তিনি বাদী হয়ে ঘাটাইল থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু থানায় মামলাটি গ্রহণ করেনি পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে ওই গৃহবধূর স্বামীসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এএসআই মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু মুঠোফোনে জানান, ঘটনাটি সাজানো একটি ষড়যন্ত্র। তাঁর মান-সম্মান নষ্ট করার জন্যই প্রবাসীর ওই স্ত্রী এমন অভিযোগ তুলেছেন।
এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন বলেন, ‘এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত চলছে।’