ডেস্ক | ২৮ মার্চ ২০২০ | ৮:৪১ অপরাহ্ণ
কোটি মানুষের শহর ঢাকায় প্রকৃতির চিরচেনা রূপ ফিরে আসবে, এমনটা বোধ করি কেউই ভাবতে পারেনি। এই শহরেই কোকিল ডাকছে, দেখা মিলছে কাঠবিড়ালীর। বৈশ্বিক করোনার প্রভাবে পৃথিবীর সব দেশের মত থমকে যাওয়া ব্যস্ত ঢাকায় এখন কমে এসেছে বায়ুদূষণও। প্রকৃতিপ্রেমীরা বলছেন, করোনার এ পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রাণ ও প্রকৃতি রক্ষায় মানুষের আন্তরিকতা প্রয়োজন।
পিচঢালা পথে মুক্ত বিহঙ্গের ছোটাছুটি। ফুটপাতে ঝরা পাতার সঙ্গে খুনসুটিতে ব্যস্ত কাঠবিড়ালি। গাছে গাছে ফুটেছে রক্তরাঙা ফুল। বাতাসে ভাসছে ঝিঁঝিঁপোকার ডাক। ঢাকার মতো ব্যস্ত নগরীর বাস্তবতায় এমন পরিবেশ কল্পনা করাও দায়। কিন্তু অবাস্তব হলেও সত্য যে এ ব্যস্ত নগরী এখন প্রকৃতির নিয়ন্ত্রণে।
করোনার প্রভাবে ব্যস্ত ঢাকা এখন নিস্তব্ধ। নেই যানবাহনের কোলাহল। তাই নেই ধুলা কিংবা ধোঁয়ার রাজত্ব। এ সুযোগে নিজের রূপের জানান দিচ্ছে নগর প্রকৃতি। মার্চের শুরুতেও ঢাকার বায়ু দূষণ নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিরা। প্রকৃতির হস্তক্ষেপে তাও এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তবে পরিবেশ অধিদফতরের মানমাত্রায় ৫০ একিউআইকে স্বাভাবিক বায়ু বলা হলেও শনিবার দুপুরে নিস্তব্ধ ঢাকার বায়ুমান ছিল ১৫৭ একিউআই। কেন এখনো ঢাকার বায়ুমান স্বাভাবিক হচ্ছে না তা ভেবে দেখার সময় এসেছে বলে মনে করেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার।
এদিকে, জনশূন্য নগরী প্রকৃতির প্রাণীদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে ধরা দিলেও খাদ্য সংকটে বিপাকে পড়তে হচ্ছে কুকুরসহ মানুষের কাছাকাছি বাস করা প্রাণীগুলোকে। তাইতো একটু খাবার দেখলেই মানুষের কাছে ছুটে আসছে। করোনার এ পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রাণ ও প্রকৃতি রক্ষায় মানুষ আন্তরিক হবে এমনটাই প্রত্যাশা প্রকৃতিপ্রেমীদের।