
ডেস্ক রিপোর্ট | রবিবার, ০৩ জুলাই ২০২২ | প্রিন্ট
হকিতে দর্শক কম থাকার কথাই। কেননা, খেলাটি অনেক বেশি টেকনিক্যাল; সেই সঙ্গে এখন চারটি কোয়ার্টার করাতে খেলাটির প্রতি অনেকেই আগ্রহ হারাচ্ছেন। দুটি কোয়ার্টার দেখার পর অনেকেই মাঠ ছেড়ে চলে যান। তবে পাকিস্তান-ভারতের খেলা ১৯৮৫ সালের দ্বিতীয় এশিয়া কাপে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দর্শক দেখেছিল। যারা দেখেছিল তারা এই বাংলাদেশেরই। এখনও মানুষ মতিঝিলের দিকে এলে একবার হলেও স্টেডিয়ামে ঢুঁ মারে। কোনো কিছুতে আনন্দ পাওয়ার সুযোগ থাকলে মানুষ তাতে আগ্রহী হবেই। মাঠে দর্শক ধরে রাখতে হলে মাঠকে জীবন্ত রাখতে হবে। ফুটবলে এক সময় আগা খান গোল্ড কাপ হতো। এশিয়ার ফুটবল পাওয়ার দেশগুলো আসত। উপচে পড়া ভিড়ে প্রমাণিত হতো, অবসর সময়কে মানুষ কীভাবে ব্যবহার করছে। এখনও ফুটবল হচ্ছে। মানসম্পন্নও, তবে দর্শক মুষ্টিমেয়। মানতে হবে, অনলাইনের সঙ্গে কভিড এ খেলায় দর্শক হারানোয় বড় ভূমিকা রাখছে। দেশে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অন্তর্ভুক্ত ৫০টির ওপরে ফেডারেশন। এর মধ্যে অনেক খেলা কোনো প্রতিযোগিতার আয়োজন না করায় জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ক্রীড়া পরিষদও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে ফেডারেশন পরিণত হয়েছে সান্ধ্য আড্ডার এক সল্ফ্ভ্রান্ত স্থান হিসেবে।
হকিতে অল্প ক’দিন আগে সাজেদ আদেল পাঁচজনের দল করে আরমানিটোলাতে খেলার আয়োজন করে। এতে হকি খেলোয়াড়রা যেমন তাঁদের বসে থাকতে থাকতে জমে যাওয়া হাড্ডিতে খেলার বাতাস লাগাতে পারলেন, তেমনি হকি কোনো না কোনোভাবে উপকৃত হলো। সাজেদ আদেল এ জন্য ধন্যবাদ পেতেই পারে। ক্রীড়া পরিষদ আরও বেশি সজাগ না হলে ক্রীড়াঙ্গন থেকে সফলতা যা কাম্য, তা আসবে না।
Posted ১২:৩৫ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৩ জুলাই ২০২২
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar