
এহছান খান পাঠান | বৃহস্পতিবার, ১২ মার্চ ২০২০ | প্রিন্ট
২০০০ সালের ৭ মে জীবনে প্রথমবার ঢাকায় এসেছিলাম। ভোর ৬টায় গ্রামের বাড়ী বেজড়া থেকে ভ্যানযোগে পৌছালাম খান্দারপাড়া ইউনিয়ন পরিষেদের বাজারে। বাসের জন্য অপেক্ষা করতে করতে বাস আসলো ৭.৩০ এ। বাসে করে থানা সদর মুকসুদপুর এর উপর দিয়ে কমলাপুর এ বিকাশের কাউন্টার এ পৌছালাম আটটার মধ্যে। তখন বিকাশ/সুন্দরবন আর সুর্যমখী বাস এর মদ্যে মুরুব্বিরা বাড়ী থেকে বিকাশ পরিবহন এর নাম বলে দিত। সুলতান কাকা মুকসুদপুর- ঢাকা ৭০টাকা হিসেবে ২টা টিকিট করলেন ১৪০ টাকা দিয়ে। গাড়ি ৯টায়, ছাড়ল ১০.১৫ এ। ফরিদপুর এ গাড়ি পৌছালো ১.৩০ এ, গোয়ালন্দে ৩টায়। নদী পার হতে দেড় ঘন্টা সময় লাগলো। গাবতলী হয়ে মীরপুর-১২ এ কাকার বাসায় ঢুকতে ঢুকতে প্রায় মাগরিব।
সেই যে এসেছিলাম, এর পর যেন ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা। দুই ঈদ আর বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া গ্রামের বাড়ী যাওয়া হয়না। বাবা-মা জান্নাতবাসী, বোনরা ৪ জনই যার যার স্বামীর বাড়ীতে, স্বাভাবিকভাবেই গ্রামের ঘর তালাবদ্ধ।
গত মাসের শেষের দিকে ভোর ৬টায় বাসা থেকে বের হয়ে ফুলবাড়িয়া কাউন্টার থেকে উঠলাম টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস-এ। ৯টায় নামলাম মুকসুদপুর কলেজ মোড়ে। সোনালী ব্যাংকের নিচে নাস্তা করে কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে অগ্রনী ব্যাংকে ঢুকলাম ১০টায়। কাজ শুরু করে দিয়ে বিশেষ প্রয়োজনে কাশিয়ানী হয়ে আলফাডাঙ্গা দিয়ে কামারগ্রাম এ বোনের বাসায় হালকা নাস্তা সেরে বোনকে নিয়ে আবার মুকসুদপুর অগ্রনী ব্যাংকে। ব্যাংকের কাজ সেরে আবার কাশিয়ানী হয়ে আলফাডাঙ্গা দিয়ে কামারগ্রাম। বোনকে তার বাড়ীতে পৌছে দিয়ে ফিরলাম মুকসুদপুর কারণ টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস এ টিকেট করা বিকাল ৫টায়। ৫টার বাসে ঢাকায় রওনা দিয়ে ৯টা নাগাদ মতিঝিল এসে পত্রিকা অফিসের শেষ মুহুর্তের কাজে যোগ দেয়াই ছিল প্লান। কারণ অফিস ছুটি নেইনি।
এসব গল্পের অর্থ দাড়ায় আমি চাইলে গণপরিবহন ব্যবহার করেই সকালের নাস্তা করে রওনা দিয়েই বাড়ী থেকে এসে অফিস শেষ করে আবার রাতের খাবার বাড়ীতে গিয়েই খেতে পারব।
পদ্মা সেতু চলাচল উপযোগী হলেতো আরো কম সময়ে বাড়ী টু ঢাকা…………………………
ধন্যবাদ শেখের বেটি।
Posted ৩:১৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১২ মার্চ ২০২০
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar