রউফ খান রিপন | ০৪ মার্চ ২০১৮ | ১০:১৩ অপরাহ্ণ
নির্বাচনী বছরে প্রধানমন্ত্রীর খুলনা সফর। কিছু দুই হাজার কোটি টাকার ১০০ প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তি স্থাপনের পরও প্রধানমন্ত্রীর অন্য একটি ঘোষণা উদ্বেল করেছে নগরবাসীকে।
গত শনিবার বিকালে নগরীর সার্কিট হাউজ ময়দানে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী খুলনায় পাইপলাইনে গ্যাস সংযোগ নিয়ে আসার আশ্বাস দেন।
বেলা পৌনে তিনটার কিছু পর প্রধানমন্ত্রী আসেন জনসভাস্থলে। সেখানেই সুইচ টিপে ৬৭৫.৩৭ কোটি টাকায় ৪৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। এ ছাড়া এক হাজার ৩৩৬ কোটি চার লাখ টাকার ৫৩টি নতুন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর করা হয়।
৯৯টি প্রকল্পের উদ্বোধনের কথা থাকলেও একটি বেড়ে ১০০টি প্রকল্পের উদ্বোধন হলো।
পরে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমি আপনাদরকে একটি সুখবর দিতে চাই, ভোলায় অনেক গ্যাস পাওয়া গেছে। সে গ্যাস পাইপলাইনে করে বরিশাল এবং খুলনায় যেন গ্যাস আসে, তার ব্যবস্থা করে দেবো।’
বাংলাদেশের বিভাগীয় তিন শহর বরিশাল, খুলনা ও রংপুরে গ্যাস সংযোগ নেই্ আর তিন শহরেই পাইপলাইনে গ্যাস সংযোগ দাবিতে বেশ কয়েক বছর ধরেই ব্যবসায়ী, শিল্পপতি এবং সাধারণ মানুষরা নানা কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন।
এই তিন নগরের মধ্যে খুলনা শিল্পসমৃদ্ধ এলাকা। গ্যাসসংযোগ না থাকায় শিল্প মালিকরা কারখানা চালানোয় ঝামেলায় পড়ছেন।
এই পরিস্থিতিতে জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণায় উল্লাস জানায় হাজারো জনতা। তুমুল করতালি দিয়ে তারা স্বাগত জানায় ঘোষণাকে।
গত ১৫ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভোলার ভেদুড়িয়া ইউনিয়নে ৬০০ বিলিয়ন ঘনফুট মজুদের নতুন গ্যাসক্ষেত্র পাওয়ার খবর জানানো হয়। তিনি বলেন, এটি দেশের ২৭ তম গ্যাসক্ষেত্র।
খুলনায় গ্যাস নিয়ে আসা ছাড়াও এখানে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নানা প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, সারা বাংলাদেশে যে ১০০টা অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হচ্ছে তার মধ্যে খুলনাও করা হবে।
বাগেরহাটে চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্র করা, যশোরে পোনা উৎপাদনে গবেষণাগার করার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
বর্তমান সরকার দেশের পাশাপাশি বিদেশেও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিদেশে ১০ লক্ষ মানুষকে (২০১৭ সালে) চাকরির জন্য পাঠিয়েছি; দেশে দেড় কোটি মানুষকে চাকরি দিয়েছি।