সারা | ২৩ জুন ২০১৮ | ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ
আরিফুর রহমান দোলন। একজন প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিক, সমাজসেবক, সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সম্পাদক। বাংলাদেশের সাংবাদিকতা ও রাজনীতিকে একত্রে যে ক’জন ব্যক্তিত্ব সাফল্যের শীর্ষে অবস্থান করছেন তিনি তাদের অন্যতম। আরিফুর রহমান দোলন অনলাইন নিউজপোর্টাল ‘ঢাকাটাইমস’ ও জাতীয় সাপ্তাহিক ‘এই সময়’ এর সম্পাদক ও প্রকাশক সেই সঙ্গে বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সহ-সভাপতি ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য। দেশের অনলাইন নিউজপোর্টাল গুলোকে একটি মর্যাদাপূর্ণ শক্তিশালী ভিতের ওপর দাঁড় করাতে তার অংশগ্রহণ এবং অবদান এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তিনি তার মেধা, সততা, প্রজ্ঞা, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা এবং অভিজ্ঞতার সুবাদে বর্তমানে সাফল্যের শীর্ষে অবস্থান করছেন।
আরিফুর রহমান দোলন ব্যক্তিগত জীবনে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য। তিনি সমাজসেবক হিসেবে সুধীমহলে পরিচিত। তিনি অনেক স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা নির্মাণসহ নানাবিধ সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
মানব সেবা পরম ধর্ম এই মানসিকতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন আরিফুর রহমান দোলন। মানুষের সেবা করতে পারলে তিনি নিজেকে ভীষণ গর্বিত মনে করেন। মুলত: এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে তিনি মানব সেবা করছেন। ফরিদপুরের সেসব ব্যক্তি সকল লোভ, লালসা, অর্থ মোহের ঊর্ধ্বে থেকে মানব সেবা করে স্মরণীর ও বরণীয় হয়েছেন তাদের মধ্যে আরিফুর রহমান দোলন অন্যতম। দলমত নির্বিশেষে সকলেই তাকে শ্রদ্ধা করে ও ভালবাসে।
আরিফুর রহমান দোলন এলাকায় যেমনি দক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্তের অধিকারী তেমনি একজন সমাজ সেবী শিক্ষানুরাগী হিসাবে সমাজে সমাধিক পরিচিত। যিনি হাটি হাটি পা পা করে নিজেকে সমাজ সেবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। যিনি ফরিদপুর-১ আসনের ছোট-বড় সকলের প্রিয় মানুষ, গরীব দুঃখীসহ সমাজের সাধারণ মানুষের সঙ্গী।
এবারের ঈদের দিনে ঘুরতে ঘুরতে গিয়েছিলাম ফরিদপুর-১ আসনের আলফাডাঙ্গায়। গিয়ে অবাক হলাম। এ আসনে অনেক প্রবীণ নেতা থাকলেও দোলনে দুলছে ফরিদপুর-১ আসন। তরুণ এই রাজনৈতিক নেতার জনপ্রিয়তায় অন্য সবাই আলোচনার বাইরে। আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালীর অবহেলিত জনগণের চাওয়া পাওয়ার একটিই নাম যেন আরিফুর রহমান দোলন। আলফাডাঙ্গা উপজেলার কামারগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মুন্সী পরিবারের সন্তান দোলন। যিনি কাঞ্চন মুন্সীর প্রপৌত্র। দাদার মতো জনগণের বিপদে আপদে মানুষের পাশে দাড়াঁনো-হাত বাড়ানোই যার কাজ।
গিয়ে অবাক হলাম আর নিজেকে প্রশ্ন করলাম তিনি কি করেননি ফরিদপুর-১ আসনবাসীর জন্য? তিনি আধুনিক শিক্ষা প্রশারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত সমাজ সেবামূলক সংস্থা ‘কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন’ দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের এ্যাডমিশনে সহযোগিতা করছে, অসচ্ছল নারী-পুরুষদের চিকিৎসা সেবায় সহযোগিতা করছে, দারিদ্রদের আইনি সহায়তা প্রদান, দরিদ্র নারী-পুরুষ ও শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠর কর্মসংস্থান, বিভিন্ন কাচাঁরাস্তা পাকাকরণ, ব্রিজ, স্কুল, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা, ঈদগাহ, কবরস্থান, মসজিদ-মাদ্রাসা, মন্দির, খেলার মাঠ, পুকুরের ঘাট বাঁধাইসহ নানা ধরনের অবকাঠামোগত উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। সামাজের অবহেলিত, সুবিধাবঞ্চিত ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মহান ব্রত নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন সমাজ সেবামূলক সংস্থা ‘কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন’।
দক্ষ ও নৈতিকতা সম্পন্ন জনশক্তি তৈরিই নয়, ফরিদপুর-১ আসনের তিন থানার রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, মসজিদ, মন্দির, করবস্থান, ঈদগাহ, খেলার মাঠসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে স্থানীয় সরকার বিভাগসহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগে দৌড়ঝাঁপ করছেন। মানুষ সুফলও পেতে শুরু করেছে। আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালীতে অনেক কাঁচা রাস্তা পাকা হয়েছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নও হয়েছে।
আরিফুর রহমান দোলনের প্রচেষ্টায় আলফাডাঙ্গার কামারগ্রামে নির্মিত হচ্ছে টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার-টিটিসি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ ফরিদপুর সফরকালে ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজের উদ্বোধন করেছেন।
আরিফুর রহমান দোলন শুধু বাক সচেতনই নন বরং স্পষ্টবাদী একই সাথে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর। তিনি এমন একজন নেতা যিনি একই সাথে উচ্চশিক্ষিত, শিক্ষানুরাগী, দেশপ্রেমী, সমাজ সেবক এবং নিষ্কলুষ তারুণ্যের প্রতীক।
ফরিদপুর-১ আসনের অঞ্চলের মাটি ও মানুষের প্রিয়নেতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক দোলনের প্রধান লক্ষ্য সমাজের সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের মাধ্যমে জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা। আমার বিশ্বাস তিনি আমৃত্যু জনগণের পাশে থেকে উন্নয়নের পথেই হেঁটে যেতে পারবেন। আমি বিশ্বাস করি এরকম একজন ব্যক্তিকে ফরিদপুর-১ আসনে এমপি পদে মনোনয়ন দিলে প্রধানমন্ত্রীর সম্মান কমবে না বরং বাড়বে। আরিফুর রহমান দোলনের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা। ফরিদপুর-১ আসনের উন্নয়নের স্বার্থে আমি আপনাকে জাতীয় সংসদে দেখতে চাই।