নিজস্ব প্রতিবেদক: | ২২ জুলাই ২০১৭ | ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নবীন প্রবীণের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী মন্ত্রীসভা গঠনের চিন্তা ভাবনা করছেন প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সরকারের একাধিক দ্বায়িত্বশীল সূত্র এমনটি আভাস দিয়েছেন, জানা গেছে, চলতি মাসেই মন্ত্রিসভায় এই যোগ বিয়োগ হবে।
মন্ত্রীসভার রদবদলের সংবাদ এ পর্যন্ত যতগুলো পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তার সবকয়টিতেই একটি নাম গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পেয়েছে। সেটি হচ্ছে কাশিয়ানী-মুকসুদপুরের উন্নয়নের রুপকার গোপালগঞ্জ-১ থেকে চারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি।
বেশ কয়েকজন প্রবীন নেতা ও অপেক্ষাকৃত উদ্যমী তরুণ নেতাকে এবারের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তকরণের বিষয়টিও এক রকম চূড়ান্ত করেছেন। এ যোগ বিয়োগের প্রক্রিয়ায় বাদ পড়তে যাচ্ছেন কমপক্ষে এক ডজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী। দলীয় হাইকমান্ডের বরাত দিয়ে নেতৃ-স্থানীয় একাধিক সুত্র এ কথা জানায়।
সূত্র জানায়, বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদে এটাই হবে মন্ত্রিসভার সর্বশেষ যোগ বিয়োগ। বিভিন্ন অভিযোগে বিতর্কিত এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে এমন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বাদ দেয়ার বিষয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রীই সংশ্লিষ্টদের আকার-ইঙ্গিতে সংকেত জানিয়েছেন।
নতুন করে এবারের মন্ত্রী সভায় যোগ দিতে পারেন- দলের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, সাবেক ডেপুটি স্পীকার অধ্যাপক আলী আশরাফ, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ফারুক খান, সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক মন্ত্রী ড. দীপু মনি, সাবেক মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, আখম জাহাঙ্গীর হোসাইন, সাবেক মন্ত্রী তালুকদার আব্দুল খালেক, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এপিএস আফম বাহাউদ্দীন নাসিম এমপি, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও ইসরাফিল আলম, সিলেটের নেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী।
পদ্মা সেতু থেকে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ প্রত্যাহার হওয়ায় সৈয়দ আবুল হোসেনের ভাগ্য আবারও খুলছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভালো ভূমিকা রাখার জন্য ফারুক খান, ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক, বিশ্বস্ততার পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হবার জন্য শেখ সেলিম, আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, দিপু মনি, বি এম মোজাম্মেল ও খালিদ মাহমুদের ভাগ্য খুলছে।