অগ্রবাণী ডেস্ক: | ০৬ এপ্রিল ২০১৭ | ৯:৫৯ পূর্বাহ্ণ
ফেসবুকে বেড়াল অনেকদিন ধরেই ভাইরাল। অ্যাকাউন্ট আছে, অথচ ফেসবুকের নিউজ ফিডে বেড়াল দেখেননি এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। মুশকিল কেন, পাওয়াই যাবে না! অনলাইনে তো আর আগ্রহের বিষয়বস্তু এক জায়গায় আটকে থাকে না। বেড়াল আবার রুমালও হয় না সবসময়। কাজেই বেড়ালও যাদের চাই, আবার তার সঙ্গে শিল্পও চাই তাদের কথা ভেবেই নতুন ‘ইন্টারেস্ট’। দ্য ফ্যাট ক্যাট! প্রজেক্টটা শুরু হয়েছিল বছর দুয়েক আগে। এখন সেটা বাড়তে বাড়তে প্রায় গ্যালারিতে পরিণত হয়েছে।
পৃথিবীর যত ক্লাসিক পেন্টিং আছে, সেখানে এক বেড়াল। কখনও দোল খাচ্ছে। কখনও লাফাচ্ছে। কখনও কোলে বসে আছে। শিল্পীরা বলছেন, এতে ছবিগুলো ‘ইমপ্রুভড’ হচ্ছে। ওদিকে লদলদে বেড়াল রমরমিয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে। ব্যাপারটা বেশ পছন্দই হয়েছে নেটিজেনদের। ফ্যাট ক্যাট আর্ট তাই জনপ্রিয় হচ্ছে ধীরে ধীরে। ফ্যানবেস তৈরি হচ্ছে ছবিগুলোর।
শ্বেতলানা পেট্রোভার কথাই ধরা যাক। এই রাশিয়ান শিল্পী তাঁর নিজের পোষা বেড়াল জরাথুস্ট্রকে প্রত্যেকটা ছবিতে আঁকছেন। স্যান্ড্রো বত্তিচেলি’র ‘ভেনাস’ ছবিতে জরাথুষ্ট্র। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির ‘মোনালিসা’তেও সে। মনে হবে, মোনালিসা বুঝি ওই জরাথুষ্ট্র নামে মিচকেটাকে দেখেই মুচকি হেসেছিলেন। মোনালিসার কোলে সে। সবক’টা ছবিরই ভক্ত প্রচুর ইন্টারনেটে।
শ্বেতলানা কী বলছেন? ‘‘মা মারা যাওয়ার পর বেড়ালটা এনেছিলাম। প্রতিভাধর বেড়াল। জরাথুষ্ট্র আমাকে অবসাদ থেকে রক্ষা করেছিল। নিশ্চয়ই জিগ্যেস করবেন, একটা বেড়াল এত ভাল মডেল হয়ে গেল কী করে? ওকে দেখে মনে হয় জাত মডেল,’’ বলেছেন শিল্পী। জরাথুষ্ট্রের বয়স নয়। সেন্ট পিটার্সবার্গে শ্বেতলানার সঙ্গে থাকে ওই জিঞ্জার ট্যাবি ক্যাট। ওয়েবসাইটও রয়েছে এঁদের। ডিজিটাল পেন্টিং বিক্রিও হয় সেখান থেকে। বরাত নেহাত কম আসে না। -এবেলা
-এলএস