
নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | প্রিন্ট
জামালপুর সরিষাবড়ীর আতিফ আসাদকে কে না চেনে। তার লড়াই সংগ্রামের কথা এখন দেশের অনেকেই জানে। রাজমিস্ত্রী, রডমিস্ত্রীর কাজ করে তিনি সংসার চালান। এরপরেও তিনিচালিয়ে যাচ্ছেন পড়াশোনা। এবার ভর্তি হয়েছেন অনার্স ১ম বর্ষে জামালপুরের সরকারি আশেকমাহমুদ কলেজ উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ে।
তাদের পারিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় তার পক্ষে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিলো না। শুধুমাত্র পড়াশোনার খরচ চালিয়ে যাওয়ার সামর্থ তার পরিবারের ছিলো না। পরালেখা করার জন্য তাকে উপার্জনের জন্য কিছু না কিছু করতেই হতো। তাই পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি ধান কাটা, বার্নিশ করা, রাজমিস্ত্রির কাজ শুরু করেন।এই সমস্তকাজ করতে গিয়ে তার অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠে। পড়ালেখা করার তৃষ্ণায় তার মন কাঁদতে থাকে থাকে। শুধু নিজে পড়াশোনা করে তিনি ক্ষান্ত হতে পারেননি। তিনি চাচ্ছিলেন সকলের পড়াশোনার জন্য কিছু একটা করার। মানুষের কাছে বইয়ের আলো পৌঁছে দিতে ব্যাকুল হয়ে যান তিনি। নিজের বাড়িতেই তিনি শুরু করেন একটি পাঠাগারের কাজ। নিজ বড় ভাইয়ের নামে পাঠাগারের নাম রাখেন-মিলন স্মৃতি পাঠাগার।
মানুষের বাড়ি গিয়ে নিজ দায়িত্বে বই দিয়ে আসেন। সেই আতিফ আসাদ ২৩শে ফেব্রুয়ারি এসেছিলেন ঢাকার অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। আসাদের হাতে নিজের লেখা “অবলা” বইসহ বেশকিছু বই তুলে দেন তরুণ সাহিত্যিক মাহবুব নাহিদ। পাঠাগারের জন্য তার দেয়া বই হয়তো বড় কিছু নয় তবে নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করেন মাহবুব নাহিদ। আতিফ আসাদের বইয়ের আলো সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে বলে স্বপ্ন দেখেন মাহবুব নাহিদ।
Posted ১১:০১ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar