| ০২ ডিসেম্বর ২০১৭ | ৯:৩৪ অপরাহ্ণ
চলতি মাসেই রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচন নিয়ে রংপুরে উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ। ইতিমধ্যেই প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন সদ্য বিদায়ী মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু। তাঁর পক্ষে একজোট হয়ে কাজ করছে রংপুর আওয়ামী লীগ। নগরে প্রচার-প্রচারণায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণ বেশ চোখে পড়ার মতো।
এ হলো বাইরের দৃশ্য। ভেতরে ভেতরে চলছে বিভক্তি, কোন্দল ও ষড়যন্ত্র। রংপুর আওয়ামী লীগের একটি অংশ গোপনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করছে। যেকোনো ভাবে ঝন্টুর পরাজয় নিশ্চিত করতে চায় তারা। অবস্থা অনেকটা কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশের বিরোধীতার কারণেই পরাজিত হন দলীয় প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা।
রংপুর সিটি নির্বাচনে যেন কুমিল্লার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য তৎপর আওয়ামী লীগ। রংপুর আওয়ামী লীগে বিভক্তির কথা কেন্দ্রের অজানা নয়। এমন বিভক্তি দূর করতেই দলের কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতারা রোববার রংপুর যাচ্ছেন। রংপুর আওয়ামী লীগের সব কোন্দল দূর করে একজোট হয়ে নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে কাজ করাই তাঁদের মিশন। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহবুবুল আলম হানিফ ও আবদুর রহমান রংপুর সিটিতে যাচ্ছেন।
তবে, নির্বাচনী আইনের কারণে রংপুর সিটিতে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের কিছু বাঁধার সম্মুখীন হতে হবে। মন্ত্রী বা এমপি পদে থাকা কোনো দলীয় নেতা সিটি নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে জনসংযোগে অংশ নিতে পারবেন না। তাই, কুমিল্লা সিটির সীমানার বাইরে তিনটি ক্যাম্প স্থাপন করে সেখানে থেকে কাজ করবেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা। প্রচারণার পাশাপাশি এখান থেকেই রংপুর আওয়ামী লীগের কোন্দল ও বিভক্তি দূর করতে কাজ করবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। আর এই নেতাদের উদ্যোগ কতটুকু সফল হলো তা জানা যাবে কিছুদিনের মধ্যেই।