
ডেস্ক রিপোর্ট | মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২ | প্রিন্ট
কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা উৎপাদন ১০ থেকে ২০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। একইভাবে কমছে খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন। এতে মাসখানেকের মধ্যে বাজারে কমে যাবে মুরগির সরবরাহ।
সরবরাহ কমে গেলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায়। এমন চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে আসছে বাজেটে কর অবকাশ সুবিধা চায় এ খাতের শীর্ষ সংগঠন বিপিআইসিসি। ব্যবসায়ীদের এই দাবিকে ইতিবাচক মনোভাব হিসেবে দেখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
আমিষের সহজলভ্য উৎস হিসেবে দেশের স্বাস্থ্য-অর্থনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই ডিম, মাংস ও কর্মসংস্থানের জোগান দিয়ে বড় ভূমিকা রেখে আসছে পোল্ট্রি খাত।
তবে মুরগি পালনে দরকারি খাদ্য তৈরির উপাদানের দাম লাগাতার বৃদ্ধি সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে এই খাতকে। বাচ্চা উৎপাদন ও খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি ডিম, বাচ্চা ও মুরগির উৎপাদন খরচ ও দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকায় লোকসান ঠেকাতে মুরগি পালন কমিয়ে দিচ্ছেন খামারিরা।
স্বাভাবিকভাবেই কমে যাচ্ছে বাচ্চা ও খাবার উৎপাদন। এতে, আগামী এক মাসের মধ্যে বাজারে মুরগির সরবরাহ ১০ থেকে ২০ শতাংশ কমে যাবে বলে দাবি তাদের।
এ অবস্থায় পোল্ট্রি শিল্পের আসন্ন বিপর্যয় ঠেকাতে কর অবকাশ সুবিধা দেয়ার দাবি এ খাতের শীর্ষ সংগঠনের।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, ‘যে কোনো ইন্ডাস্ট্রি করতে গেলে ক্যাপিটাল মেশিনারিজে কর দিতে হয় ১ শতাংশ। অথচ এই খাতে দিতে হচ্ছে ১০ শতাংশ। ২০৩০ সাল পর্যন্ত যদি কর অবকাশের সুবিধা দেয়া হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা আবার বিনিয়োগ করবে। এতে করে খাতটিকে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে।’
ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, ‘বাজারে সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। বিশেষ করে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় পণ্যের দাম বাড়ছে। এ অবস্থায় এই খাতে নজর না দিলে উৎপাদন ২০-২৫ শতাংশ কমে যাবে।’
ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী জাহিন হাসান বলেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে, লোকসান দিয়ে তো আর ব্যবসা চালিয়ে নেয়া যাবে না। শুরুতে মুরগির বাচ্চা উৎপাদন কমবে। এক মাস পর কমে আসবে মুরগির সরবরাহও।’
দেশের পুষ্টি নিরাপত্তা, কর্মংস্থান ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, এমন মুখ্য বিষয়কে সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের এ দাবিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখার পরামর্শ খাত বিশেষজ্ঞদের।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘এ শিল্পের জন্য বিশেষ সহযোগিতা ও সহায়তার প্রয়োজন। কর অবকাশ ও ভর্তুকির মাধ্যমে এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, এ খাতটি সহজলভ্য ও সহজপাচ্য আমিষের প্রধান উৎস।’
এ শিল্পে সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় একবার বড় ধরনের সংকট তৈরি হলে তা কাটিয়ে উঠতে সব ধরনের উদ্যোগ নিলেও কমপক্ষে ৬ মাস সময় লাগবে বলে আশঙ্কা খাত সংশ্লিষ্টদের।
Posted ১:০৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar