অনলাইন ডেস্ক: | ১৮ জুলাই ২০১৭ | ১২:২০ অপরাহ্ণ
জুতা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান বাটার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। ফেসবুকে এ অভিযোগ করেছেন শারমিনা ইসলাম নামে এক ক্রেতা। তার অভিযোগ, একই জুতোর জন্য বাটা তার ব্যাংকের কার্ড থেকে দু’বার দাম কেটে নেয়। কিন্তু, ব্যাংকের পাঠানো এসএমএস’র মাধ্যমে তাৎক্ষণিক তিনি বিষয়টি জানতে পারেন। এ ব্যাপারে বাটা কাউন্টারে অভিযোগ দিলে তারা অস্বীকার করেন এবং ব্যাংকের মাধ্যমে কমপ্লেইন করতে বলেন। এরপর তিনি সেখানে অবস্থান নিয়ে বিষয়টি সমাধান না করে যাবেন না এমন ঘোষণা দিলে কাউন্টারের লোকজন আবার টাকা ফেরত পাঠানোর করেন।
বিষয়টি নিয়ে ‘বাটার বাটপারি!’ শিরোনাম দিয়ে নিজের ফেসবুক ওয়ালে স্ট্যাটাস দেন শারমিনা ইসলাম। অগ্রবাণী পাঠকদের জন্য লেখাটি তুলে ধরা হলো।
”সম্প্রতি ফিউচার পার্কের বাটার শোরুম থেকে এক জোড়া জুতা কিনি ৪০৯০ টাকায়। ওদের কার্ডে পেমেন্ট নিতে বলি। প্রথমে একটা মেশিনে পাঞ্চ করে, হয় নাই বলে আরেক মেশিনে টাকাটা কেটে নেয়। দুই মিনিটের মধ্যে আমার কাছে মেসেজ আসে দুইবার টাকাটা কেটেছে। ওদের মেসেজটা দেখানোর পর ওরা অস্বিকার করে। বলে টাকা কাটেনি আমি অনেকবার বলার পরে মেসেজ দেখানোর পরেও তারা মানছিলো না। লাস্টে বলে আমাদের সব হিসেব যখন মেলানো হবে তখন আপনি আপনার ব্যাংকের মাধ্যমে কমপ্লেন করলে টাকা ফেরত পেয়ে যাবেন। জানতে চাই এজন্য কতো সময় লাগবে, তখন তারা নির্দিষ্ট করে কিছুই বলতে পারে না। তিন দিনও লাগতে পারে আবার তিন সপ্তাহও লাগতে পারে। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে জানানোর পরই তারা এমন বিহেব করছে, কেউ কথাও বলতে রাজি না এই ইস্যুতে আমি প্রায় একঘণ্টা দাাঁড়িয়ে আছি, পরে বলেছি যে আপনাদের হায়ার ম্যানেজমেন্টকে জানান, সফটওয়ারে এন্ট্রিদেয়ার সিস্টেম যদি থাকে, এর ভুল হলেও অবশ্যই কোনো ব্যবস্থা আছে। আমি এর সমাধান না করে যাবো না। এরপর ওরা মাত্র এক মিনিটে ১ টাকার একটা বিল করে বাকি টাকা ফেরত দিয়ে দিলো। এটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করে আসলে কিছুই বলিনি। কিন্তু রিসেন্ট বেশ কিছু এমন ঘটনা হচ্ছে মনে হয় এখনই সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে যারা কার্ডে কেনাকাটা করি।”